• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০২:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, ০২:৪২ পিএম

ডায়াবেটিক রোগীদের যে কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত

ডায়াবেটিক রোগীদের যে কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফিজিক্যালি অ্যাকটিভ থাকা অর্থাৎ ব্যায়াম বা শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকার কোনো বিকল্প নেই। কারণ, নিয়মিত ব্যায়াম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্যায়াম যে শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো এমন নয়, এটি সব মানুষের জন্য উপকারী।

সুতরাং, জেনে নিন ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য অন্যান্য যেসব কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করা উপকারী 

ব্যায়ামের উপকারিতা-


 
• ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধেও উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস দেরিতে হবে অথবা নাও হতে পারে।
    
• ব্যায়ামে শক্তি খরচ হয় ফলে শরীরের ওজন কম থাকে ও শরীরে চর্বি কমে।

• ব্যায়ামের মাধ্যমে প্যানক্রিয়াসের বেটা সেল থেকে ইনসুলিন তৈরি বৃদ্ধি পায়।

• ব্যায়াম ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ফলে শরীরে অল্প যা ইনসুলিন তৈরি হয় তাতেই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে ফলে বাড়তি ওষুধের দরকার নাও পড়তে পারে।

• ব্যায়ামের ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

• ডায়াবেটিসের জটিলতা কমানো সম্ভব হয়।

• ব্যায়াম রক্তের ভালো কোলস্টেরল (HDL)  বাড়ায় এবং খারাপ কোলস্টেরল (LDL) কমায়।

• উচ্চরক্তচাপ কমায়।

• ব্যায়াম দুশ্চিন্তা দূর করে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে।

• ঘুম ভালো হয়।

• হাড় ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।

• জয়েন্ট সচল রাখে।

• শুধু যে ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তা নয়। বয়স বেশি হলে হাড়ভাঙার প্রধান কারণ অস্টিওপোরসিস বা হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া বিশেষ করে মহিলাদের হিপ ফ্রাকচার হওয়ার আশঙ্কা বা অস্টিওপোরসিস কমাতে সাহায্য করে।

• ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

একজন ডায়াবেটিক রোগী কতটা সুস্থ বা ভালোভাবে বেঁচে থাকবেন সেটা সেটা নির্ভর করে তিনি কতটা সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস রোগটি খুবই ভয়াবহ একটি রোগ। কারণ, এটি সারাজীবনে কখনো ভাল হয় না। ডায়াবেটিস মূলত মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। সাধারণত শর্করার বিপাকজনিত ত্রুটির কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আর, নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে আনা সম্ভব।

সুতরাং, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত অ্যাকটিভ থাকুন এবং সুস্থ থাকুন। 

লেখক : পুষ্টিবিদ, বেক্সিমকো ফার্মা।

এফসি