• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০৯:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০৯:৫২ এএম

নারীদের ভ্রমণ বিষয়ে যা বলে ইসলাম

নারীদের ভ্রমণ বিষয়ে যা বলে ইসলাম

ইসলাম নারীকে মাহরাম ছাড়া দূরের কোনো সফরে বা ভ্রমণে যাওয়ার অনুমতি দেয় না। তা হোক দেশে কিংবা দেশের বাইরে। বরং নারীদের জন্য একাকী দূরের সফর বা ভ্রমণ করা নিষিদ্ধ। এ জন্যই নারীদের ফরজ হজ আদায়ের ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় একটি শর্ত বেশি দেওয়া হয়েছে।

যদি ৪৮ মাইল (৭৭ কিলোমিটার) বা তার বেশি দূরত্বে সফর হয়, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত পুরুষদের থেকে নিজের কোনো মাহরাম আত্মীয় ভাই, বাবা বা স্বামী সঙ্গে না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো নারীর জন্য সফর করা জায়েজ নেই। তা হজের সফর হোক বা উচ্চশিক্ষার জন্য সফর হোক কিংবা দেশ ভ্রমণ হোক।

হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণ সফর এবং হজের সফর, সবক্ষেত্রেই মাহরাম ছাড়া নারীদের একাকী সফর করতে নিষেধ করেছেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-

১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো নারী যেন সঙ্গে মাহরাম ব্যক্তি ছাড়া একাকী তিন দিনের (দূরত্বে) কোনো সফর না করে।’ (মুসলিম)

২. নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘যে নারী আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান এনেছে তার জন্য সঙ্গে কোনো মাহরাম ব্যক্তি ছাড়া তিন দিনের দূরত্বে পথের সফর করা বৈধ নয়।’ (মুসলিম)

৩. প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো নারী যেন দুই দিনের পথেও তার সঙ্গে কোনো মাহরাম পুরুষ অথবা তার স্বামী ছাড়া সফর না করে।’ (মুসলিম)

৪. এমনকি এক হাদিসে নবিজী বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম নারীর জন্য সঙ্গে তার কোনো মাহরাম পুরুষ ছাড়া এক রাতের পথও সফর করা বৈধ নয়।’ (মুসলিম)

দূরের সফর বা ভ্রমণে মাহরামের আবশ্যকতা
মাহরাম না থাকার কারণে সম্পদশালী নারীর জন্য নিজে গিয়ে হজের ফরজিয়ত বা আবশ্যকতা থাকে না। এ প্রসঙ্গে দুই প্রসিদ্ধ ইমাম আবু হানিফা ও আহমদ ইবনে হাম্বল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন- ‘নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো ‘মাহরাম’। মাহরাম না থাকলে সম্পদ যতই থাকুক না কেন, নারীর ওপর হজ ফরজ হবে না।’ (বাদায়িউস সানা) এমনকি মাহরাম ছাড়া সফর কিংবা নির্জনে সাক্ষাৎ করাও নিষিদ্ধ।