• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৯, ০৮:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০১৯, ০৮:১০ পিএম

বরের হাত ধোয়ার সম্মানী নিয়ে মারামারি, আহত ১০

বরের হাত ধোয়ার সম্মানী নিয়ে মারামারি, আহত ১০
কনেপক্ষের হামলায় আহত বরপক্ষের তিন নারী  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরের এক বিয়েবাড়িতে বরের হাত ধোয়ার সম্মানী নিয়ে তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বর, নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পৌরসভার সাহাপুর এলাকার বলিন্টিয়ার বাড়িতে (কনের পিত্রালয়) এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এ ঘটনায় আহত বর নিজেই লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি অভিযোগ করেন।

আহত বরের নাম মো. মোরশেদুল আলম মুসা (২৮)। তিনি পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বোর্ড স্কুল এলাকার আবদুল মুনাফের ছেলে। অপর আহতরা হলেন বরের ভাই মো. ফারুক (৩৬), বোন আমেনা আক্তার (২৬) ও ফেরদৌসী (২৪), ভগ্নিপতি মো. হাছান (২৯), বরযাত্রী রুবি আক্তার (৩০), মহি উদ্দিন (৪০), গাড়িচালক সুমনসহ ১০ জন।

বরের স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস আগে পারিবারিকভাবে মো. মোরশেদুল আলমের সাথে পার্শ্ববর্তী সাহাপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে তানিয়া আক্তারের আক্‌দ হয়। দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত মতে শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। দুপুরে কনের পিত্রালয়ে স্টেজে বরকে কয়েকজন মেয়ে হাত ধুইয়ে দিয়ে সম্মানী দাবি করে। পরে তাদের ৫০০ টাকা সম্মানী দেয় বরপক্ষ।

চাহিদামতো সম্মানীর টাকা না পাওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে কনেপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কনের মামা তোফায়েল ও মামাতো ভাই ইসমাইল এবং শরীফসহ কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে বরের ওপর হামলা চালান। হামলায় বরের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ছিঁড়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে এলে বরের ভাই-বোন, বরযাত্রীসহ অন্তত ১০ জনকে মারধর করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বিয়েবাড়িতে মারামারির সময় বরপক্ষের লোকজনের দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন, নগদ ১২ হাজার টাকা ও দুই জোড়া কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় কনের মামা তোফায়েল ও মামাতো ভাই ইসমাইল এবং শরীফসহ ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে বরের বড় ভাই আহত ফারুক বলেন, দফায় দফায় কনেপক্ষের লোকজন টাকা দাবি করেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দেয়ার পরও ওপর হামলা করা হয়। তার দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ফারুক।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান বলেন, বিয়েবাড়িতে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনআই

আরও পড়ুন