• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২০, ০১:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৮, ২০২০, ০১:০৮ এএম

প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ঢাকা

প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ঢাকা
ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুর্গত মানুষ ● সংগৃহীত

আগামী এক বা দু’দিনের মধ্যে উজানে ভারি বৃষ্টিপাত হবে। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহ শেষে আরও বড় বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা এক মাসের বেশি সময় অবস্থান করতে পারে। যার প্রভাব ঢাকা মহানগরীতেও পড়তে পারে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।

চলমান বন্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু আগামী এক বা দু’দিনের মধ্যে ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ উজানে ভারি বৃষ্টিপাত হবে। যার পানি আবারও চাপ বাড়াবে দেশের প্রধান নদীগুলোতে। এর প্রভাবে  শুক্রবার (১০ জুলাই) থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা এক মাসের বেশি সময় অবস্থান করতে পারে।

আরিফুজ্জামান আরও জানান, ঢাকা মহানগরীর পূর্ব দিকে শহররক্ষা বাঁধ না থাকায় পানির চাপ বেশি হলে ডেমরা, বনশ্রীসহ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ড্রেনের তুলনায় নদীর পানির উচ্চতা বাড়লে নগরীতে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর পানি ইতোমধ্যে বেড়েছে। ঢাকার দোহার ও মুন্সিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে এরই মধ্যে বন্যার প্রভাব পড়েছে। আসন্ন বন্যা ঢাকার নিম্নাঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা অনেক বেশি।

পানি কমছে, ভাঙন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি কমছে। তবে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে আছে। তীব্র হয়েছে নদী ভাঙন। ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দুর্গত মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বেশিরভাগ এলাকায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন। চার দিকে থৈ থৈ বন্যার পানি। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তা-ঘাট। নিম্নাঞ্চলে পানিবন্দী প্রায় ৩ হাজার পরিবার।

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নেমেছে বিপৎসীমার নিচে। তবে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নেয়া মানুষ। রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকা।

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি চলে গেছে নদী গর্ভে।

জামালপুরে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের মানুষ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী। এখনো ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তাদের। কাঁচা ও পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের ৬টি উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী। তলিয়ে আছে প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর ফসলী জমি।

সিরাজগঞ্জে বন্যায় সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনা দেয়া হবে।

মধ্যাঞ্চলে পানি বাড়ছেই। শরীয়তপুরে পদ্মায় ভেঙে গেছে চেয়ারম্যান স্টেশন বাজারের ১৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙন চলতে থাকায় স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে লোকজন।

পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের অনেক লোকালয়ে ঢুকছে পানি। তলিয়ে আছে বেশ কিছু এলাকা।

কেএপি

আরও পড়ুন