খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপির আমলে মোংলা বন্দরে কোনো কাজ হয়নি, বন্দরকে ধ্বংস করার জন্য সকল ধরনের পরিকল্পনাই করেছিল তারা। চাঁদাবাজীর ভয়ে কোনো ব্যবসায়ী আসতো না এই বন্দরে। কোনো শিল্প কল-কারখানাও ছিল না তখন, ছিল শুধু ঘাসবন।
রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন চত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাংসদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই বন্দরকে নতুনভাবে প্রাণ দিয়েছে। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, আর্ন্তজাতিকভাবে এই বন্দর এখন সফলতা অর্জন করেছে। এর অবদান শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে বন্দরের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনসহ বন্দরের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, বন্দর ব্যবহারকারীদের আরো উৎসাহিত করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ‘সর্বোচ্চ পণ্য হ্যান্ডিংয়ে’র জন্য মেসার্স এ হক চৌধুরী এন্ড সন্স কোম্পানীর মালিক মো. ওহিদুর রহমানকে সম্মাননা স্মারক দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহার। এছাড়া আমদানি-রপ্তানিতে বিশেষ অবদানের জন্যও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে দুপুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে প্রীতিভোজের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিকাল থেকে শুরু হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
টিএফ