• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০৪:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০, ০৪:৫৬ পিএম

করোনা সংক্রমণকে সিরিয়াসলি নেয়নি সরকার : মির্জা ফখরুল

করোনা সংক্রমণকে সিরিয়াসলি নেয়নি সরকার : মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ● সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে এখন পর্যন্ত সরকার সিরিয়াসলি নেয়নি। এখনও দোষারোপের মধ্যেই রয়েছেন সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা। এ সব কথা বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা যেভাবে কথা বলছেন, তাদের ভাষা ও বডি ল্যাংগুয়েজে এখন পর্যন্ত মনে হয় না, তারা করোনাভাইরাসের বিষয়টি সিরিয়াসলি নিয়েছেন। বিএনপি কী করছে না করছে সেটাই তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্যাকেজটি কলেবরে বড় হলেও এটি মূলত একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রণোদনা বলা হলেও মূলত অধিকাংশই ব্যাংকনির্ভর ঋণ প্যাকেজ। যা বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীদের দেয়া হবে ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। এতে সরকারের প্রণোদনা নিতান্তই অপ্রতুল।

তিনি আরও বলেন, গত ৪ এপ্রিল বিএনপি করোনা মোকাবেলায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করলে বলে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সে প্যাকেজের ভেতরে না ঢুকে খুবই কটূ ভাষায় বিএনপি মহাসচিবকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। অথচ পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর ৭২ হাজার ৫শ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা এবং পহেলা বৈশাখের ভাষণে সর্বমোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যা প্রমাণ করে বিএনপি ঘোষিত প্যাকেজটি ছিল বাস্তবভিত্তিক। সরকারের উচিত হবে বিএনপির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রস্তাবিত ঋণ প্যাকেজের জন্য সরকারি তহবিল থেকে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ করা।

তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাবে কৃষি শ্রমিক, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন কৃষকদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করে আর্থিক সাহায্য দেয়ার কথা হয়েছে। সব কৃষি ঋণ মওকুফ করতে এবং শাটডাউনের কারণে আসছে মৌসুমে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকদেরকে উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম দাম দিতে বলেছিলাম, যাতে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে না যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলো সরকারের প্যাকেজে এসব বিষয় নেই।

জেডএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন