• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৯:৫৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯, ০৯:৫৪ এএম

সাদ-যোবায়ের গ্রুপে সমঝোতা হয়নি, কঠোর নিরাপত্তায় দুই পর্বে ইজতেমা

সাদ-যোবায়ের গ্রুপে সমঝোতা হয়নি, কঠোর নিরাপত্তায় দুই পর্বে ইজতেমা
টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা- ফাইল ছবি

আসছে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে টঙ্গির তুরাগ পাড়ে অনুষ্ঠিত হবে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিরোধ না মেটায় আগামী ইজতেমাও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়েরপন্থীদের এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভী পন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। 

সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাবলিগ  দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠকে ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) আবু বকর ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত দুই পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসে আলাদাভাবে উভয় পক্ষের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে মাওলানা জুবায়েরপন্থীদের এবং দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদপন্থীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, তাবলিগের এক গ্রুপের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে তাবলিগ জামাতের দিল্লির আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভী বাংলাদেশে আসবেন না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্য নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত। আলেমরা সাদবিরোধী ও সাদপন্থী দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক গ্রুপে রয়েছেন সাদ কান্ধলভীপন্থী বাংলাদেশে তাবলিগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। অপর গ্রুপে রয়েছেন মাওলানা সাদবিরোধী কওমীপন্থী শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

দুই গ্রুপের বিভক্তি চরম আকার ধারণ করে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার সময় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আসার পর। বিরোধীদের বাধার মুখে ইজতেমায় অংশ না নিয়েই মাওলানা সাদকে ওই সময় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল। গত বছরের ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনাও ঘটে। টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় সম্মেলন ‘বিশ্ব ইজতেমা’র আয়োজন করে আসছে তাবলিগ জামাত। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ২০১১ সাল থেকে অঞ্চলভেদে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে। নির্বাচনের আগে হওয়ায় সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে সভা করে ইজতেমা স্থগিত করে। সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়, নির্বাচন শেষে দুই পক্ষের সঙ্গে বসে অভিন্ন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এরপর বিবদমান দুই পক্ষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করলেও বিরোধ মেটেনি। পরে দুই পক্ষের ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এইচ এম/বিএস