• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২০, ০৪:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১০, ২০২০, ০৪:৪১ পিএম

৩ বলে ৪ উইকেটের পতন দেখলো বিপিএল 

৩ বলে ৪ উইকেটের পতন দেখলো বিপিএল 
আরাফাত সানির আলসেমির সুযোগ নিয়ে তাকে রানআউট করেন এনামুল হক বিজয়; তাতেই শেষ ৩ বলে ৪ উইকেট হারায় রংপুর। ফটো : গাজী টিভি

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা রংপুর ৯ উইকেটে ১৪৯ রান করেছে। বিস্ময়করভাবে ইনিংসের শেষ ৩ বলে রংপুর তাদের ৪ উইকেট হারিয়েছে।

১৯.৩ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন জহুরুল ইসলাম। কিন্তু লো ফুলটস বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ফলেসরাসরি অফস্টাম্প উপড়ে গেলে ২৪ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান জহুরুল।

পরের বলে থিসারার করা ইয়র্কার লেন্থের ডেলিভারিতে তাসকিন বোল্ড হন। তাতে থিসারারশাম্নে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে নাদিফ চৌধুরীকে আউট করতে না পারায় থিসারা হ্যাটট্রিক পাননি। বলটি হোয়াইড হওয়ার পর তা উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের গ্লাভসে যায়। এ সময় ননস্ট্রাইক প্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। বিজয়ের থ্রো করা বল নিয়ে সহজ সুযোগ পেয়ে বোলিং প্রান্তে তাকে রানআউট করেন থিসারা পেরেরা। উইকেট পড়লেও ওয়াইড থেকে ১টি রান পায় রংপুর।

পরে শেষ থিসারার ফুল লেন্থের ডেলিভারি লংঅনে ঠেলে দিয়ে রান নেয়ার জন্য দৌড়ান নাদিফ। এক রান নিতে পারলেও অপর প্রান্তে আরাফাত সানির আলসেমির সুযোগ নিয়ে তাকে রানআউট করে দেন ঢাকার উইকেটরক্ষক বিজয়। তাতে করে শেষ তিন বলে ওয়াইডের কল্যাণে পাওয়া ১ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট হারায় রংপুর।

এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শেন ওয়াটসনের রংপুর রেঞ্জার্স। তবে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাশরাফীর শিকার হন ওয়াটসন। তার পর মেহেদী হাসানের বলে ক্যামেরন ডেলপোর্ট দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে দলটি।

পরে লুইস গ্রেগরিকে নিয়ে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন নাঈম শেখ। তবে সফল হতে পারেননি তিনি। শাদাব খানের বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। এরপর আল-আমিনকে দলের হাল ধরেন গ্রেগরি। ধীরে ধীরে ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তারা। ক্রিজে সেটও হয়ে যান এ জুটি। তবে রানের গতি মন্থর ছিল। সেটা বাড়াতে গিয়ে থিসারা পেরেরার বলির পাঁঠা হন গ্রেগরি। ফেরার আগে ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।

মূলত তার লড়াইয়ে মাঝারি পুঁজি গড়ার ভিত পায় রংপুর। পরে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন আল-আমিন। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ভালো সমর্থনও পান তিনি। তাতে ঘুরে দলের রানের চাকা। কিন্তু হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যান আল-আমিন। শাদাব খানের বলে বিদায় নেন তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেরেরা। আর ২ উইকেট নেন শাদাব খান। মাশরাফী ৪ ওভারে ১৬টি ডটবলসহ মাত্র ১৭ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। আরেকটি উইকেট পান মেহেদী হাসান।

আরআইএস