• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৬:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০১:২৮ পিএম

বাবর-হাফিজের ব্যাটে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ

বাবর-হাফিজের ব্যাটে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
সাদাব খানের বলে পুল করতে গিয়েছিলেন লিটন দাস। বলটা এসে লাগল তার প্যাডে, আউট দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিতে দেরি করেননি লিটন, কিন্তু শেষে দেখা গেল আম্পায়ারস কল। সাজঘরে ফেরত যেতে হলো তাকে। ছবি : টুইটার

আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি বললে ভুল বলা হবে না নিশ্চিত। হুট করেই কেউ যদি দেখতে বসে যান বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তারপর তিনি যদি ভাবেন, লাহোরের প্রথম ম্যাচটাই রিপিট চলছে কি না। তাতে খুব বেশি দোষের কিছু থাকবে না। অন্তত পাওয়ার প্লের ৬ ওভার পর্যন্ত সেটা ভাবার যথেষ্ট কারণ তো ছিলই। আসলে তা ভাবার অবকাশ দিয়েছেন তামিম ইকবাল-নাঈমর শেখরাই।

আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লে থেকে বাংলাদেশ তুলেছিল ৩৫, এই ম্যাচে ৩৩ রান। প্রথম ম্যাচে ডট সংখ্যা ২২ টি, এই ম্যাচে ২০। একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই পাওয়ার প্লেতে ডট খেললেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তামিম ১৭ বলে ৮টি, মেহেদী ১২ বলে ৮টি, লিটন ৬ বলে ৩ টা, নাইম ১ বলে খেলেছেন ১ ডটবল। তাতে রান তোলার গতি হয়ে গেছে মন্থর, যা ভুগিয়েছে পুরো ইনিংস জুড়ে। 

তবুও যেটুকু লড়িয়ে পুঁজি উঠেছে স্কোরকার্ডে। তাতে তামিম ইকবালকে কৃতিত্ব না দেয়াটা অন্যায়ই বটে। অন্যপ্রান্তে যখন আশা-যাওয়ার মিছিলে সতীর্থরা, তখন উইকেটে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে তামিম। তবে প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও প্রশ্নবিদ্ধ এই ওপেনারের রান তোলার ধরন যেভাবে আউট হলেন, তাতে খানিক কষ্ট থেকে যেতে পারে তার। বলটা পেয়েছিলেন লো ফুলটস, ঠেলে ছিলেন কাভারে। এক রান নিতে দৌঁড় দিতেই, থ্রো করে বসলেন ইমাদ ওয়াসিম। সরাসরি যা আঘাত হানলো স্টাম্পে, তামিমও ফিরলেন দলের সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে। যা করতে খেলেছেন ৫৩ বল, হাঁকিয়েছেন ৭ চার আর ১ ছক্কা। 

তামিমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহটা দেখলেই বুঝা যাবে তার ইনিংসের গুরুত্ব। ২০ বলে ২১ রান করা আফিফ হোসেনই যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশের সংগ্রহটাও খুব একটা বড় হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলতে পেরেছিল টাইগাররা। 

ছোট লক্ষ্য, কোথায় ধীরস্থির গতিতে ব্যাট করার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা ব্যাটসম্যানের কী আর সে ধৈর্য্য থাকা শোভা পায়। বাবর আজমও তা দেখালেন না, খেললেন নিজের স্বাভাবিক খেলাটা। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৪ বলে খেললেন অপরাজিত ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস, দলকে জয় এনে দিলেন ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। 

পাকিস্তানের ইনিংসের প্রথম ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিয়ে আসলেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসানকে। তার ওভার থেকে পাকিস্তান তুললো মোটে ১ রান। 

সেই চাপ বোধ হয় সহ্য হলো না ওপেনিংয়ে খেলতে নামা আহসান আলীর। ৭ বল থেকে ০ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরত গেলেন শফিউল ইসলামের বলে। উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন আহসান, কিন্তু তার বল গন্তব্য খুঁজে নেয় মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা রিয়াদের হাতে। ওই একজনই, আর কোন পাক ব্যাটসম্যানকে আউটই করতে পারলেন না মোস্তাফিজরা। 

তাতেই তো পাকিস্তান সহজ জয় পেল। যার নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক বাবর আজম, যাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ। বাবরের ঝড়ো ইনিংসের পাশে ম্যাচশেষে উজ্জ্বল মোহাম্মদ হাফিজের ৪৯ বলে ৬৭ রান। তাতে সিরিজটাও নিশ্চিত হয়ে গেল পাকিস্তানের। ১৩ বছর পর পাকিস্তানে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ হারটাও। সিরিজ জিতে র‌্যাংকিংয়ের সাতে উঠার যে হাতছানি ছিল, তাও তো হারালেন মাহমুদুল্লাহরা। 

এমএইচবি