• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০৯:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ১০:৫৩ এএম

ফাইনালে অশোভন আচরণ : ভারত-বাংলাদেশের ৫ ক্রিকেটার নিষিদ্ধ 

ফাইনালে অশোভন আচরণ : ভারত-বাংলাদেশের ৫ ক্রিকেটার নিষিদ্ধ 

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে অশোভন আচরণের দায়ে ভারত ও বাংলাদেশের পাঁচ ক্রিকেটারকে কয়েকটি ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তাদের মধ্যে দু’জন ভারতীয় ও ৩ জন বাংলাদেশি। ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে এই শাস্তি দেয়া হয়। ক্রিকেটাররা অনূর্ধ্ব-১৯ বা ‘এ’ দলের হয়ে সামনের ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করবেন।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শাস্তিপ্রাপ্ত তিন ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয় (১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ), শামীম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং রকিবুল হাসান (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ)। ভারতের দুই ক্রিকেটার হলেন- আকাশ সিং (৬ ম্যাচ) আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুই (৫ ম্যাচ)।

আইসিসি জানায়, ফাইনাল ম্যাচ শেষে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করে এসব খেলোয়াড় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন।

ফাইনালের ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাবরয় জানান, বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার ও ভারতের দুই খেলোয়াড় আইসিসির বিধিবিধানের ২.২১ ধারা ভঙ্গ করেছেন।

তৌহিদ হৃদয়ের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে আইসিসির ২.২১ বিধিবিধান ভঙ্গের অভিযোগ। তার ডিমেরিট পয়েন্ট ৬। শামীম হোসেনও ২.২১ বিধিবিধান ভঙ্গের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তার নামের পাশে যোগ হয়েছে ৬টি ডিমেরিট পয়েন্ট। ৮টি ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শামীমকে। রকিবুল হাসান নামের পাশে যোগ হয়েছে ৫টি ডিমেরিট পয়েন্ট।

ভারতের আকাশ সিংয়ের বিরুদ্ধেও ২.২১ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত। তার ডিমেরিট পয়েন্ট ৬। রবি বিষ্ণুইয়ের ডিমেরিট পয়েন্ট ৭।

ওই দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে নির্বাচক কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ দলের সাবেক ফাস্ট বোলার হাসিবুল হোসেন শান্ত জানান,  ভারতের খেলোয়াড়দেরই পুরো ঘটনায় দায় ছিল। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করেছে ভারতের ক্রিকেটাররা।

তিনি বলেন, ওরা পুরো ম্যাচজুড়েই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের ক্রিকেটাররা যখন উৎসব করতে শুরু করল, তখনই ওরা এসে মা-বাপ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। কত আর সহ্য করা যায়! ছেলেরা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ করতে যায়। এতেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি।

একেএস
 

আরও পড়ুন