• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৯, ১১:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩০, ২০১৯, ০৬:৪৮ পিএম

নুসরাত হত্যা মামলা তথাকথিত ও মিথ্যা মামলা বললেন- আ’লীগ নেতা

নুসরাত হত্যা মামলা তথাকথিত ও মিথ্যা মামলা বললেন- আ’লীগ নেতা

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যার মামলাকে তথাকথিত হত্যা মামলা বলে মন্তব্য করেছেন সোনাগাজী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা নুর নবী লিটন। 
সোমবার (২৭ মে) নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিনের মুক্তির জন্য আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনসহ বেশিরভাগ নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেননি।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটুর সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ সদস্য নাছির উদ্দিন আরিফ ভূঞার সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু, মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য আবদুস সালাম খোকন প্রমুখ।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- চরচান্দিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক, নবাবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রূপম শর্মা, বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন বাবুল, পৌর যু্বলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন অপু ও যুবলীগকর্মী আবদুল হালিম সোহেল।

উক্ত ইফতার মাহফিলে নেতারা রুহুল আমিনকে নির্দোষ বলে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তার প্রতি আহ্বান জানান। তারা দাবি করেন নুসরাত হত্যা মামলা তথাকথিত একটি মিথ্যা মামলা।

উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।

ওই ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদি হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাহসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন