• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম

হংকংয়ে বিক্ষোভ

গণতন্ত্রকামীদের ওপর মারমুখী পুলিশ

গণতন্ত্রকামীদের ওপর মারমুখী পুলিশ

 

হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। গত ১ জুলাই দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে হামলার পর রবিবার (৭ জুলাই) প্রথমবারের মতো হংকংয়ের সড়কে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার জনগণ। এ দিন চীনা পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় একটি অঞ্চলে বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিতর্কিত প্রত্যাবাসন বিল নিয়ে উদ্বেগ জানান উপস্থিত গণতন্ত্রকামীরা। যদিও দিনের শেষ দিকে বিক্ষোভরতদের ওপর পুলিশ সদস্যদের চড়াও হতে দেখা যায়। পুলিশি তৎপরতা মোকাবিলায় বিক্ষোভকারীরা ছাতা ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

এর আগে গত মাসে হংকংয়ের চীনপন্থি সরকার বিতর্কিত একটি আসামি প্রত্যর্পণ বিল পাসের উদ্যোগ নিলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন অঞ্চলটির সাধারণ মানুষ। তাদের আশঙ্কা বিলটি পাস হলে হংকংয়ের রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। পরবর্তীতে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে বিলটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, বিলটি স্থগিত না রেখে পুরোপুরি বাতিল করা হোক। গত ১ জুলাই চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই সড়কে জড়ো হতে শুরু করে হাজার হাজার লোকজন। এক সময় সরকারি দফতরগুলোতে চালানো হয় ভাংচুর। এমনকি ধাতব বস্তু দিয়ে পার্লামেন্ট ভবনেও চালানো হয় হামলা। সরকার বিরোধী এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাজপথে অবস্থান নেয় হাজারও গণতন্ত্রকামী জনগণ।

যদিও এই রবিবার কুউলোন শহরের মধ্য দিয়ে আন্দোলনরতরা মিছিল নিয়ে পশ্চিম কুউলোনের রেল স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। স্টেশনটির মাধ্যমেই দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে চীনের মূল অংশের সঙ্গে সংযুক্ত হয় হংকং। মূলত মূল ভূখণ্ডের পর্যটকদের আকৃষ্টের জন্যই এবারের বিক্ষোভে চীনের জাতীয় সঙ্গীত এবং দেশটির ভাষায় লিখিত ব্যানার বহন করে।

এ দিকে এডিসন এনজে নামে ১৮ বছর বয়সী এক গণতন্ত্রকামী বলেন, ‌‘আমরা মূলত পর্যটক এবং মূল ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের হংকংয়ে যা চলছে তা দেখাতে চাই। আশা করি, তারা এই ধারণা চীনে নিয়ে যাবেন।’ অপর দিকে আয়োজকদের দাবি, এবারের বিক্ষোভে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি লোক সমবেত হয়েছেন। যদিও পুলিশের দাবি, গত রবিবার মাত্র ৫৬ হাজার লোক এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন।

প্রায় ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের অধীনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় অঞ্চলটি শক্তিশালী চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তখন ‘এক দেশ দুই পদ্ধতি’ একটা চুক্তি হয়েছিল। মূলত সেই চুক্তির ভিত্তিতে হংকং শাসিত হবে এবং স্বায়ত্তশাসনের গ্যারান্টি থাকবে। সম্প্রতি খসড়া করা প্রত্যর্পণ বিলে সেই স্বায়ত্তশাসন ক্ষুণ্ণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভরত লোকজন।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড

আরও পড়ুন