• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৭, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে রফিক হত্যার অভিযোগে বাবা ও সৎভাই আটক

ঠাকুরগাঁওয়ে রফিক হত্যার অভিযোগে বাবা ও সৎভাই আটক
রফিক হত্যার অভিযোগে আটক বাবা দবিরুল ইসলাম (৫৫) ও সৎভাই সাইফুল ইসলাম  ছবি : জাগরণ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি পশ্চিম মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে ওই যুবকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত রফিকুল ইসলাম (৩৭) কচুবাড়ি পশ্চিম মুন্সিপাড়া এলাকার দবিরুল ইসলামের ছেলে। এদিকে রফিককে হত্যার অভিযোগে তার বাবা দবিরুল ইসলাম (৫৫) ও সৎ ভাই সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৩০ বছর আগে জাহেদা বেগমের সাথে সংসারের বিচ্ছেদ হয় দবিরুল ইসলামের। প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে ও এক ছেলে হয়েছিল। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ছিলেন মেজো। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের পর দবিরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করেন সালেহা খাতুন নামের আরেক জনকে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে মেজো ছেলে রফিকুল ইসলাম তার বাবা দবিরুল ইসলামের বাড়িতেই সৎমা ও ভাই-বোনদের সঙ্গে থাকতেন। প্রায় সময় নানা কারণে রফিকুল ইসলামের সাথে তার সৎমা সালেহা খাতুন ও সৎভাই-বোনদের সঙ্গে ঝগড়া হতো।

শুক্রবার বিকেলে নিজ ঘরে রফিকুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওই রাতেই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের বাবা দবিরুল ইসলাম ও সৎভাই সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় নিহত রফিকুল ইসলামের কোমরের নিচ অংশে আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে এবং সেসব দাগ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা।

এ ব্যাপারে আটক বাবা দবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে রফিকুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। কারো সাথে মারপিট করে আসার পরে সে ঘরে আত্মহত্যা করেছে।’

এনআই

আরও পড়ুন