ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনের ইয়ার্ডে আগাছায় দেড় যুগ ধরে মালবাহী ওয়াগনসহ রেলের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। ইয়ার্ড এলাকায় বাউন্ডারি ওয়াল না থাকায় রাতের আধারে চুরি ও খোয়া যাচ্ছে রেল সম্পদ। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করায় ইয়ার্ডে আগাছা জন্মে জঙ্গলে রূপ নিয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে যখন মশা নিধনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চলছে। সেখানে রেলওয়ে ইয়ার্ড মশার আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিণত হয়েছে। পরিত্যক্ত এসব রেল সম্পদ বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকার কোন সঠিক পরিসংখ্যান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক ২ শতাধিক মালবাহী ওয়াগন ও ৩টি কোচ কনডেম হয়ে দেড় যুগ ধরে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম জানান, ইয়ার্ডে পরিত্যক্ত এসব ওয়াগনসহ রেল যন্ত্রপাতির দেখাশোনার দায়িত্ব প্রধান ট্রেন পরীক্ষক ও প্রকৌশল বিভাগের। কাজেই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।
প্রধান ট্রেন পরীক্ষক আজিজুল হক বলেন, পরিত্যক্ত ওয়াগন ও কোচ এবং ইয়ার্ড পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখার দায়িত্ব রেলের প্রকৌশল বিভাগের।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে প্রকৌশল শাখার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার রায় বলেন, এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায়িত্বে আছেন। পরিষ্কারের লোক আছে আজকালের মধ্যে এসে পরিষ্কার করবে। মানুষের মলমূত্র ও বৃষ্টির কারণে দ্রুত আগাছাগুলো বেড়ে উঠে। লোকবল সংকটের কারণেও পরিষ্কার কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই আগাছার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর রেল স্টেশনের দুই মাথায় বস্তি থেকে নোংরা ও ময়লা আর্বজনা ফেলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করছে। সিটি করপোরেশনকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি। পরিত্যক্ত ওয়াগন ও কোচ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে। এটা তারাই বলতে পারবে। পরিত্যক্ত গাড়ি বেচাকেনার দায়িত্ব আমাদের না। পরিত্যক্ত গাড়ির বেচাকেনার দায়িত্ব প্রধান ট্রেন পরীক্ষকের। আমরা প্রকৌশল বিভাগ হচ্ছে রেললাইনের দেখাশোনা করার দায়িত্বে। তবে আমি যতদূর জানি এসব মালামাল নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিবেন বলে জানান।
কেএসটি