গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার সড়কের জন্য ৮টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই ৮টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বিধ্বস্ত এই সড়কটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ এখন এলাকাবাসীর সময়ের দাবি।  

জানাগেছে, উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের মাদারবাড়ি থেকে রাজিন্দারপাড় ব্রিজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়কটি গত ৩ বছর আগে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এইচবিবি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। রাজিন্দারপাড় ব্রিজ থেকে বটবাড়ি স্বামীজী নরোত্তম ব্রম্ম্রচারীর আশ্রাম পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক গত বছর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এইচবিবি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাজের গুনগত মান নিম্নমানের হওয়া ও ভারী বর্ষণের কারণে এই ২ কিলোমিটার সড়ক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিধ্বস্ত হয়ে যায়। 
বটবাড়ি থেকে মাদারবাড়ি পর্যন্ত এই ২ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রায় ১২ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ বিধ্বস্ত সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের দপ্তরসহ এলাকার জনপ্রতিনিধের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 

রাজিন্দ্রাপাড় গ্রামের মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের এই এলাকার ৮টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার লোক এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি বিধ্বস্ত থাকার কারণে ভ্যান রিক্সাও চলতে পারে না। এর ফলে আমাদের বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় একটি রোগীকে নিয়ে জরুরিভাবে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজনে হলে তাও নিতে পারি না। তাই দ্রুততার সঙ্গে সড়কটি পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন। 

বটবাড়ি গ্রামের শিক্ষার্থী গৌতম সরকার ও সজিব সিকদার বলেন, এই এলাকার প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী এই সড়কটি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়। সড়কটি বিধ্বস্ত থাকার কারণে তাদের পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এতে অনেক সময় নষ্ট হয়। আমরা চাই এই সড়কটি কার্পেটিং করা হোক। 

রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অমৃত লাল হালদার বলেন, মাদারবাড়ি থেকে বটবাড়ি স্বামীজী নরোত্তম ব্রম্ম্রচারীর আশ্রাম পর্যন্ত সড়কটি আমার ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে অনেক লোক যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের অভাবে দিন দিন স্থানীয়দের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমি এই সড়কটি কার্পেটিং এর জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করেছি।
 
উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, এই সড়কটি কার্পেটিংয়ের জন্য কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া উন্নয়ন প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই টেন্ডার হবে। 

কেএসটি