বরিশালের বানারীপাড়ায় সলিয়াবাকপুর গ্রামে সুমাইয়া আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কিশোরী সুমাইয়া সলিয়াবাকপুর গ্রামের মাসুদ হাওলাদারের স্ত্রী ও একই উপজেলার চাখারের মেকানিক হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
জানা গেছে, কিশোরী বয়সে পিন্টু হাওলাদারের ছেলে মাসুদের সাথে প্রেম হয় সুমাইয়া আক্তারের। সেই প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় কিশোরীর।
বিয়ের মাস না যেতেই ঠুনকো অজুহাতে দুই ননদ সেলিনা ও সালমার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয় কিশোরী গৃহবধূ সুমাইয়াকে।
সর্বশেষ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমাইয়ার শ্বশুর পিন্টু হাওলাদার মুঠোফোনে তার নানা মোহাম্মদ আলীকে জানান তার নাতনি কীটনাশক পান করেছে।
এদিকে কিশোরীকে ওই রাতেই বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তবে তার পরিবারের অভিযোগ, কিশোরী গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বানারীপাড়া থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি বোঝা যাবে।
তাছাড়া এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি তারা। যদিও গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
এনআই