• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৫:৪৭ পিএম

লক্ষ্মীপুরে একতলাবিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় হচ্ছে দোতলা!

লক্ষ্মীপুরে একতলাবিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় হচ্ছে দোতলা!
ঝুঁকিপূর্ণ নাগমুদ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের এক তলা ভবনটিকে দোতলা করার কাজ চলছে  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে একতলাবিশিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার হচ্ছে দোতলা। এ কারণে ভবনধসের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তবে ভবনটি সম্প্রসারণের ফলে কোনো দুর্ঘটনার শঙ্কা নেই বলে জানাল জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কারণ হরিজেন্টাল আর ভার্টিক্যাল প্রক্রিয়ায় হচ্ছে নির্মাণকাজটি।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের নাগমুদ বাজার উচ্চ বিদ্যালয় সম্প্রসারণের কাজ করা হচ্ছে। এক্সটেনশনসহ ৫টি কক্ষ ও একটি টয়লেট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয় ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। কাজটি করা হবে হরিজেন্টাল ও ভার্টিক্যাল প্রক্রিয়ায়।

সে অনুযায়ী গত ৪ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জিসান এন্টারপ্রাইজ একতলাবিশিষ্ট পুরাতন ভবনটি (১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে নির্মিত) দোতলা করার কাজ শুরু করে। সেখানে কাজটি করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কিছু সময় পর আবার শুরু হয় কাজটি।

কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, পুরাতন ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। নষ্ট হয়ে গেছে দেয়ালের অধিকাংশই। এই ঝুঁকিপূর্ণ এক তলা ভবনকে দোতলা করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের কয়েকবারই বলা হয়েছে। কিন্তু তার পরও বিপজ্জনক ভবনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

তবে সম্প্রসারণের বিষয়ে কিছুই জানেন না বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এ এফ এম আবদুস সালাম। তাই বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে দরপত্র অনুযায়ী কাজ করছেন বলে জানালেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আলতাফ হোসেন।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) দিপংকর খীসা বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি দ্বিতল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে অনুযায়ী দরপত্র হয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানান তিনি। তাছাড়া হরিজেন্টাল ও ভার্টিক্যাল প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারণের কাজ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা মিললে জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো হবে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এনআই

আরও পড়ুন