নরসিংদীতে তালের পিঠা খেয়ে রানী আক্তার (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ আরো ৬ জন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের চাঁনগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানী চাঁনগাও এলাকার আতাউর রহমানের মেয়ে।

অসুস্থরা হলেন আতাউর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫), মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (১২), নাতনি মুন্নী আক্তার (১১), তিন্নী আক্তার (৮), লিজা আক্তার (৫) ও আবদুল্লাহ (৩)। আহতরা সবাই বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মাধবদী থানার পুলিশ জানায়, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রানী আক্তার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালের পিঠা তৈরি করেন রিনা বেগম। সন্ধ্যায় রিনা বেগম মেয়ে ও ছেলের ঘরের নাতি-নাতনিদের নিয়ে ওই পিঠা খান। পিঠা খাওয়ার সাথে সাথে তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের রাতেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রানী আক্তার মারা যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আমীরুল হক শামীম জানান, আলামতটি আমরা ঢাকায় ল্যাব টেস্টে পাঠিয়েছি। তারপর নিশ্চিত হওয়া যাবে কী কারণে পিঠা বিষক্রিয়া হলো।

মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, রানী আক্তারের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। মূলত তালের পিঠা খেয়েই সবাই অসুস্থ হয়েছে। এখন পিঠাটি কীভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে সেটা নিহতের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এছাড়া যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এনআই