• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৯:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২, ২০১৯, ০৯:৪৭ পিএম

এক সপ্তাহে মেঘনায় বিলীন ৪ ভবন

এক সপ্তাহে মেঘনায় বিলীন ৪ ভবন
নদীগর্ভে একে একে বিলীন হয়েছে মসজিদ, হেলথ সেন্টার, স্কুলসহ ৪ ভবন  -  ছবি : জাগরণ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার চরফলকনের লুধুয়া এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মসজিদ, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারসহ মোট চারটি ভবন। একই চিত্র উপজেলার নদীতীর ঘেঁষা প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুড়ে। বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটছে মেঘনাপারের মানুষের।

কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি, সাহেবেরহাট, চরফলকন, পাটাওয়ারীর হাট ও চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরের ব্যবধানে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ১৬টি ইউপি ওয়ার্ড, ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা, ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প, ছোট-বড় মিলিয়ে ৬টি বাজার, ১টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও ১টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এছাড়া নদীর গভীরে হারিয়ে গেছে অসংখ্য গ্রাম, বাস্তুভিটাসহ ব্যাপক ফসলি জমি।

সূত্রে আরও জানা গেছে, মেঘনা নদীর পাশে কমলনগর উপজেলা অবস্থিত। মেঘনা ভৈরব থেকে চাঁদপুর হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর লক্ষ্মীপুর সদর কমলনগর ও রামগতি হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। প্রতিবছর নদীগুলো উজান থেকে বয়ে আনছে লাখ লাখ টন পলি, বালি ও কাঁকর, যা জমা করছে এ মোহনায়। ফলে নদীর মূল চ্যানেল ভরাট হয়ে গেছে, নদীতে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য ডেগাচর, ডুবোচর। তাই নদীর ভাঙন ক্রমশ আগ্রাসী রূপ নিচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ বলেন, নদীভাঙনের এমন বিধ্বংসী রূপ অতীতে কোথাও আমার নজরে পড়েনি। জিওব্যাগ দিয়ে ডাম্পিংরত অবস্থায় একটি মসজিদ মাত্র ৫০ মিনিটের মাথায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেল, আমরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলাম কিছুই করার ছিল না।

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাংসদ মেজর (অব.) আবদুল মান্নান জানান, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগতি-কমলনগর মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। সে মোতাবেক ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগতি ৪ কিমি এবং কমলনগর ১ কিমি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণও করা হয়েছিল (যদিও নির্মাণত্রুটির কারণে কমলনগর অংশের ১ কিমি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে) কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। এখন আবার ডিপিপি প্রেরণ করা হচ্ছে। আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় মানবিক কারণে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রামগতি-কমলনগর রক্ষার মহান দায়িত্বটি পালন করবেন।

এনআই

আরও পড়ুন