• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৮:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০১৯, ০৮:৪৪ এএম

‘শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডে পরিবার জড়িত’

‘শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডে পরিবার জড়িত’

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই খুন করা হয় পাঁচ বছর বয়সী তুহিন মিয়াকে। সোমবার সন্ধ্যায় তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া লোকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এমন তথ্য জানান।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে রোববার রাতে বীভৎস কায়দায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া খুন হওয়া ঘটনাটি। পাষণ্ড হত্যাকারীরা এত ববর্রভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে দেখলেই গা শিউরে ওঠে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনভর এই মর্মান্তিক ঘটনাটি যারা শুনেছেন তাদের মনেই নাড়া দিয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে এই খুনের পেছনে যে তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার মতো। যাদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার কথা তারাই শিশুটির খুনের সঙ্গে জড়িত। এমনকি তার বাবাও এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই নির্মম ও বর্বর এই পদ্ধতি অবলম্বন করে পরিবারটি। সোমবার সন্ধ্যায় দিরাই থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এমনটিই জানান। তিনি আরো জানান, পাঁচ বছর বয়সী শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলবো না। ঘটনার পরপর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে পুলিশ রেকর্ড দিয়েই আসামিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এসময় আরো বলেন, এ হত্যাকাণ্ডটি পূর্বশত্রুতার জেরে হতে পারে। যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই খুন করা হয় পাঁচ বছর বয়সী তুহিন মিয়াকে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

জানাযায়, রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তুহিনের পেটে দুটি ধারালো ছুরি বিদ্ধ ছিল। তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কর্তন অবস্থায় ছিল। নিহত তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছালাতুল ও সোলেমান সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দিরাই উপজেলার মানুষ এর আগে দেখেনি। তাই তদন্ত করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান।

কেএসটি

আরও পড়ুন