• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০১৯, ১১:৩৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৭, ২০১৯, ১২:৫০ পিএম

বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গত তিনদিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উঠতি রোপা-আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ার করণে বেশীর ভাগ পাকা-আধাপাকা ধান পানির নিচে পড়ে আছে। 

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, দুর্যোগের কারণে শেষ মুহুর্তে ধানের ফলন প্রায় অধেক কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কি পরিমাণ ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় মোট ৫ হাজার ৮৮০ হেক্টোর জমিতে রোপা-আমন চাষ করা হয়েছে। আর রোগ-বালাইমুক্ত অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৪৬০ মে.টন ধান। তবে শেষ মুহূর্তে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ করিম বলেন, এই মুহুর্তে অধিংশ জমির ধান প্রায় পাকা রং ধরেছে। আর ধান পেকে গেলে গাছের গোড়া স্বাভাবিকভাবে নরম ও ধানের শীষের কারণে মাথা ভারি হয়ে যায়। তার উপর বৃষ্টি ও সাথে বাতাস হওয়ায় কিছু জমিতে ধান পড়ে গেছে। তবে এই মুহুর্তে জমির পানি বের করে দিতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আর নিচু জমিগুলোতে যে ধান পানির নিচে আছে তার ফলন কিছু কম হতে পারে।

জিউপাড়া এলাকার কৃষক মোজাহার আলী বলেন, এ বছর দাম কম থাকায় মাত্র চার বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। ধান ক্ষেত প্রায় পেকে গেছে কিন্তু শেষ মুহুর্তে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে দু’বিঘা জমির ধান পড়ে পানির নিচে চলে গেছে। যার কারণে এবার ধানের ফলন প্রায় অর্ধ্বেকেরও কম হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মন্জুরে মাওলা বলেন, গত দু’দিন ছুটি থাকার কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উঠতি ধানের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য এই মুহুর্তে নেই। তবে উপসহকারী কর্মকর্তা মাঠে নেমেছেন। আশা করা যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিক পাওয়া যাবে।

কেএসটি

আরও পড়ুন