• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম

বাউফল আ’লীগের সম্মেলনে পাল্টাপাল্টি কমিটি

বাউফল আ’লীগের সম্মেলনে পাল্টাপাল্টি কমিটি
বাউফল আ’লীগের এক পক্ষের সভাপতি আ স ম ফিরোজ ও সম্পাদক মোতালেব হাওলাদার (উপরে) এবং অপর পক্ষের সভাপতি জসিম ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর (নিচে)  -  ছবি : জাগরণ

ব্যাপক উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পৃথক এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এক পক্ষের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়-সংলগ্ন পুরাতন আদালত ভবন চত্বরে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন।

আ স ম ফিরোজের পক্ষে ১৫টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে আসেন সম্মেলনস্থলে।

এই সম্মেলনে পুনরায় আ স ম ফিরোজ এমপি সভাপতি ও  আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। আ স ম ফিরোজ এমপি ১৯৮০ সাল থেকে এই দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবদুল মোতালেব হাওলাদার এর আগেও দুবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

অপর পক্ষের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পৌর শহরের লিচুতলা মাঠে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজি। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাউফল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান।

এ সম্মেলনে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের পক্ষের জসিম উদ্দিন ফরাজীকে সভাপতি ও  জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। জসিম উদ্দিন ফরাজী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সকাল ১০টায় দুই পক্ষের সম্মেলন শুরু হয় এবং তা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ সম্মেলন উপলক্ষে শহর সুদৃশ্য তোরণ ও ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। কিন্তু কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই দুই পক্ষের সম্মেলন শেষ হয়।

এনআই

আরও পড়ুন