• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০১৯, ১০:০৫ এএম

সাতক্ষীরায় অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার

সাতক্ষীরায় অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার

সাতক্ষীরার সদর উপজেলাসহ জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার। এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করছে। এছাড়া বন্দুক ও এয়ারগান দিয়েও অতিথি পাখি শিকার করা হচ্ছে। ফলে সাতক্ষীরার জলাশয়-বিলগুলো এখন অতিথি পাখির জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা বিল, খড়িয়াডাঙা বিল, ধুলিহর এলাকার আছানডাঙা বিল, কোমরপুর বিল, এল্লারচর, বকচরাসহ বিভিন্ন এলাকায় দল বেঁধে আসছে সাদা বক, বালহাঁস, পানকৌড়ী, (গলা লম্বা) সারসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।

ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু জানান, বিভিন্ন স্থানে পাখি শিকার করছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। ৫-৭ দিন আগে যুগিপোতা বিলে রাতের আঁধারে অতিথি পাখি শিকার হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গেলে শিকারিরা পালিয়ে যায়। এলাকার সবাইকে পাখি শিকার বন্ধের আহবান জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

ধূলিহর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবলুর রহমান জানান, তিনি কোমরপুর বিলে নিয়মিত ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করেন। সেখানে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়, ধরা পড়েনি একটি পাখিও।

কোথায় পাখি শিকারে গিয়েছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোমরপুর বিলে, তবে একটাও পাখি পাইনি।

চিংড়ি, পুঁটি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে এ দেশের খাল-বিলে। তবে পাখিদের আবাসস্থলগুলো এখন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। একশ্রেণির চোরা শিকারী পাখির অবাধ বিচরণে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ। কেবলমাত্র সাতক্ষীরা সদর নয়, বিভিন্ন উপজেলায়ও রয়েছে এমন পাখি শিকারের অভিযোগ।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখি শিকারের অভিযোগ পেয়েছি। ইতোপূর্বে সবাইকে অতিথি পাখি শিকার না করতে আহবান জানানো হয়েছিল। এরপরও যারা অতিথি পাখি শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অতিথি পাখি যখন শিকার করতে আসে,তখন যদি স্থানীয়রা একটু তথ্য দিয়ে সহায়তা করে তাগলে, তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া যেত।

কেএসটি

আরও পড়ুন