• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

কুড়িগ্রামের ৪ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা

কুড়িগ্রামের ৪ ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা
৪ ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন নৌকাযোগে  -  ছবি : জাগরণ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ও নুনখাওয়ার কিছু অংশ মিলে এই চার ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা।

জানা যায়, এই চার ইউনিয়নের অষ্ট আশির চর, নারায়ণপুর, ভগবতীপুর, ঝুনকার চর, রলাকাটা, পোড়ার চর, দই খাওয়া, সাহেবের আলগা, জাহাজের আলগা, কালার চর, গোয়ালপুরী, কালির চর, আইরমারী, তিন হাজারী, চিড়া খাওয়া, বেরুবাড়ি, শান্তির চর, বউ ভাসাসহ ভুয়াপুর চরের মানুষজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এসব এলাকার মানুষ নিজ নিজ ঘাট নৌকাযোগে যাত্রাপুর ঘাটে আসেন। পরে সেখান থেকে নিজেদের প্রয়োজনে নিয়মিত জেলা শহরে চলে যান।

ঘাটটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত। এটি দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার মানুষ নৌকাযোগে পারাপার হয়। এছাড়া হাটের দিনে ৫-৬ হাজার মানুষ চলাচল করে। ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুরহাট থেকে পূর্ব দিকে দেড় কিলোমিটার দূরে ঘাটটি অবস্থিত।

সরেজমিনে গিয়ে এই চার ইউনিয়নের শত শত মানুষের নৌকা যোগে যাতায়াতের এমন চিত্র দেখা যায়।

যাতায়াতকারী শিরিনা, ফরিদা, আব্দুর রহিম ও জহুরুল জানান, আমাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। নদী পার হয়ে চরে গেলে আমাদের মনে হয় আমরা কোনো এক দ্বীপ বা মরুভূমিতে বসবাস করছি। চারদিকে নদী আর মাঝখানে শুধুই বালু দেখে দেখে মনে হয় আমরা পৃথিবীর বাইরে বসবাস করছি। কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে সময়মতো ঘাটে নৌকা পাওয়া যায় না। মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসার প্রয়োজনে জেলা শহরে নিতে চাইলে বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে নৌকা রিজার্ভ নিতে হয়। এখন তো কষ্ট করে হলেও চলাচল করা যায়। আবহাওয়া খারাপ অথবা ঝড়-বৃষ্টি হলে ঘাটে নৌকা পাওয়া যায় না।

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় ১০টি দ্বীপচরের মানুষসহ বাইরের ইউনিয়নের লোকজনও এ ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। নারায়ণপুরে যাতায়াতের সিরিয়াল রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য চরের নৌকার সিরিয়াল নেই। তবে এসব চরের নৌকা যদি সিরিয়াল করত, তাহলে মানুষজনের চলাচলের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমত।

এনআই

আরও পড়ুন