• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২০, ০৩:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০২০, ০৩:৩৩ পিএম

কোভিড-১৯

ফিরে আসছে বাতিল ও স্থগিত হওয়া বহু রফতানি আদেশ

ফিরে আসছে বাতিল ও স্থগিত হওয়া বহু রফতানি আদেশ

গেলো এপ্রিল মাসে দেশ থেকে পণ্য রফতানি কম হয়েছে ৮৩ শতাংশ। সাকুল্যে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে ওই মাসরর। এক মাসে এত কম রফতানি এর আগে দেখা যায়নি।

গত কয়েক বছর ধরে প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর হানায় বাংলাদেশ থেকেও রফতানি একদম কমে যায়। বাংলাদেশের বড় বাজার ইউরোপ আমেরিকাসহ অনেক দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আরও সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন বা অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশগুলো। এতে মার্কেট, শপিংমল, শোরুম বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ক্রেতারা রফতানি আদেশ বাতিল অথবা কেউ স্থগিত করেছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্য নেয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

করোনার প্রভাবে এপ্রিলের আগের মাস মার্চেও রফতানি কম হয়েছে। তবে মে মাসে করোানর প্রভাব পুরোপুরি বোঝা যায়নি। ফলে ওই মাসে রফতানি হ্রাসের হার ছিল মোটামুটি সহনীয়। মার্চে রফতানি কম ছিল ১৮ শতাংশ। তবে বিশ্ববাজারে করোনার হানা বাংলাদেশের আগেই শুরু হয়ে হওয়ায় ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ থেকে রফতানি আদেশ কমতে শুরু করে। মার্চে নতুন রফতানি আদেশ প্রায়ই বন্ধ ছিল। এপ্রিলে বলতে গেলে পণ্য জাহাজি করণ হয়নি। এ কারণে রফতানিতে কমেছে রেকর্ড অঙ্কের। 

রফতানিকারকরা বলছেন, এখন পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। বাতিল এবং স্থগিত করা অনেক রফতানি আদেশ ফিরে আসছে। নতুন রফতানি আদেশও আসতে শুরু করেছে। ফলে করোনার প্রভাব থেকে গেলেও আগামী মাসগুলোতে রফতানি ব্যাপক হারে কমবে না।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি  কম হয়েছে ৮৩ শতাংশের বেশি। মাসটিতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫৫ কোটি ডলার। গত বছরের এই মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩০৩ কোটি ডলার।

অন্যদিকে সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের জুন থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে রফতানি কম হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ শতাংশের বেশি। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম হয়েছে ২১ শমিক ২৪ শতাংশ। এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ডলার। রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৯৪৯ কোটি ডলারের। গত বছরের একই সময়ের এই পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৩৯৪ কোটি ডলার। প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকসহ ছোট বড় সব পণ্যের একই রফতানি চিত্র। ব্যাতিক্রম শুুধ পাট। করোনাকালেও কাঁচাপাটসহ সব ধরনের পাটপণ্যের রফতানি বেড়েছে।সমকাল।

এসএমএম  

আরও পড়ুন