• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২০, ০৭:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২০, ০৭:২৭ পিএম

সিপিডি

‘শ্রমিক ছাঁটাই বা উৎপাদন বন্ধ হলে সরকারি প্রণোদনা নয়’

‘শ্রমিক ছাঁটাই বা উৎপাদন বন্ধ হলে সরকারি প্রণোদনা নয়’
প্রতীকী ছবি

করোনার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক ছাঁটাই কিংবা উৎপাদন বন্ধ করে দেবে, তাদের সরকারি প্রণোদনা না দেয়ার সুপারিশ করেছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। 

রানা প্লাজার ৭ বছর উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি বলছে, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য এবং জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যেখানে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের। 

লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে বহু উদ্যোক্তা বসে পড়বেন উল্লেখ করে সিপিডি বলছে, বিকল্প ব্যবস্থায় উৎপাদন অব্যাহত রাখার কৌশল বের করতে হবে।

দেশের পোশাক খাতের ভয়াল এক অধ্যায়ের নাম রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি। এগারশরও বেশি মানুষের প্রাণ আর অসংখ্য শ্রমিক-কর্মচারির কর্মক্ষমতা কেড়ে নেয়া, এই দুর্ঘটনার পর বহু ইতিবাচক বদল এসেছে এই খাতে। কিন্তু ঠিক সাত বছর পর, তারচেয়েও ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে, সবচেয়ে বড় রফতানি খাত।

প্রাণঘাতি করোনার প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা, সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে পোশাক খাতকে। বাতিল হয়েছে বড় অঙ্কের ক্রয়াদেশ। বহু উদ্যোক্তা হিমশিম খাচ্ছেন কারখানা চালাতে। দিন যতো গড়াচ্ছে, অনিশ্চয়তা বাড়ছে শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে। সমান্তরালের বড় হচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। এমন বাস্তবতায়, গবেষণা সংস্থা সিপিডি মনে করে, এই মুহূর্তে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে হবে উদ্যোক্তাদেরই।

সিপিডির গবেষণা বলছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর, ৯০ শতাংশ কারখানায় উন্নত হয়েছে কর্মপরিবেশ। আগের চেয়ে বেড়েছে চাকরির নিরাপত্তা। কিন্তু করোনাকালে বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে। এছাড়া রফতানি কমার অজুহাতে অনেক কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ছাঁটাইয়ের।

সিপিডি বলছে, এমন আচরণ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচিত হবে সরকারি প্রণোদনার বাইরে রাখা।

লকডাউন পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতিতে পড়ার আশঙ্কা করে বলা হয়, খুঁজে বের করতে হবে উৎপাদন অব্যাহত রাখার বিকল্প উপায়।

এসএমএম

আরও পড়ুন