• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০১:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২০, ২০১৯, ০১:৩৬ পিএম

‘ভুয়া ভোটার তালিকা নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’

‘ভুয়া ভোটার তালিকা নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না’
ইটিআই ভবনে আয়োজিত কর্মশালায় সিইসি সহ অন্যান্যরা -ছবি : জাগরণ

অস্তিত্বহীন বা ভুয়া ভোটার তালিকা নির্বাচনের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

রোববার (২০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে এক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা তৈরির সূচনা থেকে ভোটের ফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন না থাকলে সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশন যদি সরকার বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে আন্দোলিত হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তার বিকাশ ও প্রকাশ সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পর্কিত আজকের এই আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সুষ্ঠু সুন্দর আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্তই হলো সুষ্ঠু সত্য ও বিশ্বস্ত ভোটার তালিকা। এর কারণ হচ্ছে একসময়ে ভোটার তালিকায় বিপুল সংখ্যক অস্তিত্বহীন বা দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত হয়। বিভিন্ন জরিপ প্রতিবেদনে তার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। তৎকালীন ভোটার তালিকাটি ছিল অকার্যকর। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটে ছবিসহ নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নে। ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ তৈরি দেশের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন পর্যন্ত সেই ডাটাবেজ ধরেই আমরা ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছি।
 
কমিশনার মাহবুব বলেন, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দুঃখজনক। একটি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন সর্বদাই জাতির প্রত্যাশা। দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দুর্নীতির আওতামুক্ত নয়। যে সব জনপ্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে বা দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনে জয়যুক্ত হন, তাদের নির্বাচনের কোনো বৈধতা থাকে না। 

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণের পর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। রহিঙ্গারা যাতে ছলেবলে বা কৌশলে ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন। রহিঙ্গাদের ভোটার করার বিষয়ে যদি কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে মৃত ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকা দরকার। নবাগতদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ জনবল গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার বর্তমান ব্যবস্থায় তথ্যসংগ্রহ ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ কার্যক্রম এবং ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ ও ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২-এর অসঙ্গতি দূরীকরণ একসঙ্গে সম্পন্ন করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নানাবিধ সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তন অপরিহার্য। তাছাড়া ভোটার তালিকা হালনাগাদের পদ্ধতি যুগোপযোগী করার জন্য বিদ্যমান ফরমগুলো সহজতর করা আবশ্যক। আমি আশা করি দুদিন ব্যাপী কর্মশালার মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি উন্নতর কর্মপদ্ধতি নিরূপন করা সম্ভব হবে। আমি এই কর্মশালার সর্বময় সাফল্য কামনা করি।

এইচএস/একেএস

আরও পড়ুন