• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ১০:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ১০:৩৩ এএম

ব্রিটেনের ব্রেক্সিটে বিভ্রাট

পার্লামেন্ট স্থগিত ইস্যুতে সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু

পার্লামেন্ট স্থগিত ইস্যুতে সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু

একাধিক প্রধানমন্ত্রীর বিদায়, পার্লামেন্টে পাল্টা-পাল্টি ভোট, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সংসদে অস্থিরতা, পুঁজি বাজারে দরপতন; এক কথায় এক ব্রেক্সিটেই বিপর্যস্ত গোটা ব্রিটেনের রাষ্ট্র ব্যবস্থা। সবিশেষ ব্রেক্সিট টেকাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আচমকা পার্লামেন্ট স্থগিতের ঘোষণায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা যুক্তরাজ্য। যার ধারাবাহিকতায় এবার পার্লামেন্ট স্থগিতের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালত সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানায়, গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এই শুনানির আগামী শুক্রবার রায় ঘোষণা হতে পারে। আদালতে বিচারক প্রধানমন্ত্রী বরিসের এই সংসদ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দিলে অতি দ্রুতই পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকতে হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

‘বিবিসি নিউজে’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ব্রিটেনের এই পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে ঘোষণা করেন স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও এর আগেই লন্ডনের হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি বৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। মূলত গত মঙ্গলবার এই দুই রায়ের নিয়েও আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিকে সুপ্রিমকোর্টে চলা শুনানিতে সরকারবিরোধী জোটের আইনজীবীদের অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী বরিস তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের এক রকম বাধা হিসেবে দেখেন বলেই তিনি এই পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন। তাই অবিলম্বে পার্লামেন্টের অধিবেশন আবারও শুরু করে চলমান ব্রেক্সিট ইস্যুতে এক কার্যকরী সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হোক।’

অপর দিকে সরকার পক্ষের দাবি, ‘যেকোনো সময় পার্লামেন্ট স্থগিত করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর আছে। যা তা রাজনৈতিক হিসেবের মধ্যে পরলেও হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বরিস একজন বৈধ প্রধানমন্ত্রী; তাই তিনি চাইলেই এই পার্লামেন্টের অধিবেশন যেকোনো সময় স্থগিত এবং প্রয়োজনে পুনরায় চালু করতে পারেন।’

যদিও ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন মনে করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কখনোই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। তিনি কেবলই নিজ দলের সদস্যের ভোটে নির্বাচিত; তাই তাকে কোনোদিন গণতন্ত্রের পক্ষের লোক বলে বিবেচনা করা যাবে না।’

করবিনের ভাষায়, ‘তিনি (বরিস) রাজনীতিতে সবসময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুসরণ করছেন। আর এ কারণেই ব্রিটিশ জনগণ বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও চাকরিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় আচমকা পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এখন দেখার পালা, এই ব্রেক্সিট কি ভাগ্য বয়ে আনে নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য।

সূত্র: রয়টার্স

এসকে/টিএফ
 

আরও পড়ুন