• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯, ০২:১৭ পিএম

এনআরসি ইস্যু

পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে জড়িয়েছেন মোদী-অমিত: মমতা

পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে জড়িয়েছেন মোদী-অমিত: মমতা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- ফাইল ফটো

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাসের প্রতিবাদে সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে। এরই মধ্যে বিতর্কিত ইস্যুটি নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এনডিটিভি।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এনডিটিভি প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কখনোই এনআরসি বাস্তবায়ন হবে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেত্রী।

সংস্থাটি জানায়, এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বর্তমানে বিজেপির চেয়ে বড় কোনো জালিয়াত নেই। দলটির উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণের সচেতন থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সারা দেশে চালু হওয়া নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। যদিও কিছুদিন আগেই বিজেপি সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, এনআরসি দেশজুড়েই করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উভয়ের বক্তব্যই পরস্পরবিরোধী। আমরা আশ্চর্য হচ্ছি এটা ভেবে যে, কে সত্য বলছেন আর কে মিথ্যা। তারা আসলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এমনটা করছেন।’

এর আগে গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজধানী নয়াদিল্লির এক সমাবেশে বলেছিলেন, ২০১৪ সালে প্রথমবার বিজেপি ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে কখনোই আমরা গোটা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালুর কথা আলোচনা করিনি।

এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘আমরা যা করছি তা জনস্বার্থে, বিজেপিও দাবি করছে তারা সবকিছুই জনস্বার্থে করছে। এবার জনগণই ঠিক করবেন যে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

গত ৯ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভায় বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়। বিলটিতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পার্লামেন্টে বিলটি ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ উত্থাপন করেন।

পরে ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি। বিপক্ষে পড়েছে ১০৫টি ভোট। ১২ ডিসেম্বর রাতে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিতর্কিত বিলটি আইনে পরিণত হয়।

এসকে

আরও পড়ুন