মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের খালাস চাওয়া আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এই শুনানি চলছে।

বুধবার (১০ জুলাই) মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি এটিএম আজহারের আপিল শুনানি শেষ হওয়ার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হয়।

আদালতে কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

এর আগে, গত ১০ এপ্রিল আপিল বিভাগ আদেশে বলেছিলেন, জামায়াত নেতা আজহারের আপিল শুনানি শেষ হওয়ার পর সৈয়দ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হবে। সেই আদেশ অনুযায়ী আজহারের আপিল শুনানি শেষ হওয়ার পর পরই সৈয়দ কায়সারের আপিল শুনানি শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

১৯৭১ সালে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিন’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টির সমর্থক।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, ‘সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে। যার মধ্যে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে। এই দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্যও দিয়েছেন।

সৈয়দ কায়সার ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।

এমএ/একেএস