• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯, ১১:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯, ১১:১৩ এএম

রাজীবের মৃত্যু : প্রতিবেদন পিছিয়ে ৪ নভেম্বর

রাজীবের মৃত্যু : প্রতিবেদন পিছিয়ে ৪ নভেম্বর
সড়ক দুর্ঘটনা নিহত কলেজ ছাত্র রাজীব

দুই বেপরোয়া বাসের চাপায় রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত। 

রাজধানীর সার্ক ফোয়ারার কাছে এ দুর্ঘটনায় দায়ের হওয়া এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ  বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রতিবেদন দাখিল না করার পরিপ্রেক্ষিতে  ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী নতুন এ দিন ধার্য করেন। 

২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এতে তার মাথায়ও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।


দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। একই বছরের ১৭ এপ্রিল মারা যান তিনি।

মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮-এর ‘ক’ ধারায় মামলা করেন রাজীব (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল। মামলার পরই বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসের চালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে।

রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এমএ/বিএস 
 

আরও পড়ুন