• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০১৯, ০২:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২, ২০১৯, ০২:২২ পিএম

সরকারের অভিযান ‘রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যমূলক’ : রিজভী 

সরকারের অভিযান ‘রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যমূলক’ : রিজভী 
বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ -ছবি : জাগরণ

সরকারের চলমান অভিযানকে ‘রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের ঝুঁড়ি থেকে মহাদুর্নীতির বাতাসা নয় বরং যখন বড় বড় চমচম বের হতে শুরু করেছে তখন সেটির দায় চাপানোর জন্য তারা লন্ডনের রাস্তা খুঁজে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরকার তথাকথিত অভিযান চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন কারো রেহায় নেই, সব ধরা হবে। আর ধরলেন মাত্র তিন-চারজন মলা মাছ। রাঘব বোয়ালরা কোথায় ?

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, রাজধানীতে গত ১৩ বছর ধরে ডজন ডজন ক্যাসিনো গড়েছে যুবলীগ ও তাদের গডফাদাররা। সরকারের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দুর্বৃত্তরা টাকার কুমির হয়েছে। আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বৃত্তান্তে দেশের মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। সেলিম প্রধান, খালেদ ভূঁইয়া, শামীম, ফিরোজরা সরকারে থাকা তাদের গডফাদারদের ইচ্ছাতেই টাকা পাচার করেছে। গডফাদার পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকেই তারা দীক্ষা পেয়েছে। দুই একটা ছোট মাছ ধরে এই সরকারের রোগ সারানো সম্ভব নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যালকুলেটেড এই অভিযানেও টাকার স্তুপের যে ছবি দেখা গেছে তা এই মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকারের আসল প্রতিচ্ছবি। তাদের এই দুর্নীতি-কৃতিত্ব হয়তো ভবিষ্যতে বড় গবেষণার বিষয় হবে। এতদিন র‌্যাব-পুলিশ-দুদক ‘সচেতন উদাসীনতায়’ এসব দুর্বৃত্তদের ধরে নি। কারণ সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী এই তথাকথিত অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য বিএনপি এবং তারেক রহমান। সেই থলের বিড়ালটা এবার বের করলো। আওয়ামী লীগ অসততা ও নীতি পঙ্গুত্বতায় ভুগছে বলেই নিজেদের কালিমা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে চাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের কতিপয় দলদাস পত্রিকা ও মিডিয়া তারেক রহমানকে ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত করতে কাছা মেরে সপ্তসুরে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। 

রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সেলিম প্রধান এককালে মামুনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মামুনের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর গত এক দশক ধরে সেলিম প্রধান কার সাথে সংসার করে অনলাইন ক্যাসিনোর ডন হয়েছে তা তো র‌্যাব বললো না। বর্তমানে সেলিম প্রধানের কোন কোন নেতা ঘনিষ্ঠ তা কোন গণমাধ্যমে দেখলাম না। কেবল সেলিম প্রধানই নয়, যাদের এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে সবাই নাকি এক দশক আগে ছিলেন বিএনপির লোক। 

রিজভী বলেন, একটি পত্রিকা লিখেছে, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান ও সাবেক ৭ মন্ত্রী এবং ২৩ এমপিকে তিনি নিয়মিত টাকা দিতেন। তারা ছিল যুবলীগ নেতা শামীমের ‘বিজনেস পার্টনার’। আমাদের প্রশ্ন তারা কারা ? নাম বলেন না কেন ? তাদের এখনকার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে পুরো দেশটাই ভরে গেছে তারেক রহমানে। দেশ থেকে ক্ষমতাসীনরা নাই হয়ে গেছে।

বর্তমান সরকারকে রাতের অন্ধকারের সরকার আখ্যা দিয়ে রিজভী আহমেদ বলেন, এই সরকারের সাহস নেই, এই সরকারের লজ্জা নেই, তাই রাতের অন্ধকারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ক্ষমতা জবর দখল করেছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন