• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:৩৮ পিএম

নীলিমা পারভীনের কবিতা

নীলিমা পারভীনের কবিতা

বিনিময় করি, প্রকাশিত ভাব : কথোপকোথন

এক বিশেষ কাজে বড়দাকে বিকেলে ফোন করি
সংক্ষেপে উত্তর
তোমার সাথে ২৭শে কথা হবে, ভোরে স্যালুট অনুষ্ঠানে কিছু বলতে হবে তৈরী হচ্ছি,
তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল,
বহুবছর পরে তাকে বেশ সতেজ মনে হলো।

একজন জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি বিদ্এর
সাক্ষাতকার করবো বলে, যোগাযোগ করতেই
বল্লেন, সরি হ্নীলা
আমারত মনেই ছিলো না
আগামীকাল
২৬শে মার্চ নিজ গ্রামে সাহিত্য সভায় যাবো
তোমায় ফিরে এসে জানাবো।
মন ভরে গেলো অন্তত তিনি গ্রাম নিয়ে ত অগ্রসর হচ্ছেন।

নিজ ঘরে প্রবেশ করে দেখি
বাড়ির শিশুরা লাল সবুজ কাগজ কেটে পতাকা বানাচ্ছে
আমিত বিষম পর্যায়ে পড়লাম!!!
একি সকলেই ব্যাস্ত !

অবশেষে এক কবিকে ফোন করলেম
তিনি স্মৃতিতে ৭১ এ কলকাতায় তাঁর দেবুদার কথা বল্লেনঃ
দেবুদা ছবি আঁকিয়েছিলেন
তবু কলকাতায় বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধের লড়াই এ অংগিকারবদ্ধ,
ত একদিন
টাকা পয়সা নেই, পেটে খিদে
হোটেলে বসেছেন
কবি, ও তিনি।
খাবারের অর্ডারও দিয়েছেন,
কবি বল্লেন, দেবুদা টাকা কোথায়?
চলেন জল পান করে কেটে পরি।

দেবুদা
কবির দিকে তাকিয়ে গান শুরু করলেন
সে গান শুনে অনেকেই টাকা দিল।

অতপরঃ
সেটাকাতে হোটেলের বিল,
পরে ঘরের বাজার।

এভাবেই ৭ই মার্চের ম্যাগনাকার্টার পরোক্ষ নির্দেশের
ফলশ্রুতি আমাদের আজ
লাল সবুজের পতাকা, পঞ্চান্ন হাজার 
পাঁচ শ, আটানব্বই বর্গ কিলোমিটার।

এই লাল সবুজের নীচে আমরা
আনম্র কেউ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, কেউ সফল রাজনীতিজ্ঞ।, শিশুদের মনেও লাল সবুজের পতাকা।

নীর্জনের কবির সুখস্মৃতি
আর আমার সোনার বাংলা।।

আমাকে নানা ঘায়ে আঘাত করার পর
আমার মস্তিষ্কে গলে গলে
লাভা নির্গত হচ্ছিল,
তখন আমি
আনমনে ধ্যানরত।

যখন আমি ধ্যানচ্যুত
দেখি,নিউরনের কোষ গলিত হয়ে
হৃদয়পুর
রঙীন আনন্দলোক!


প্রকৃতি: ভীষণ প্রকৃতির

আহ্নিকগতি আর বার্ষিক গতির চক্রাবর্ত
শীতে কেমন কাঁপায়
ঝড়ে তোলপাড় করে দেয়।
যেমন তোলপাড় তুলেছিলো
তোমার ওষ্ঠে
আমার ওষ্ঠ স্পর্শ।

আমি বৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস
পেয়েছিলাম যেন
নিজের শরীরে।।
প্রকৃতি : ভীষণ প্রকৃতির
আহ্নিকগতি আর বার্ষিক গতির চক্রবর্ত
শীতে কেমন কাঁপায়
ঝড়ে তোলপাড় করে দেয়।

 

 

 

যেমন তোলপাড় তুলেছিলো
তোমার ওষ্ঠে
আমার ওষ্ঠ স্পর্শ।

আমি বৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাষ
পেয়েছিলাম যেন
নিজের শরীরে।।


আছি ভৈরবীর রাগে 

আজ খোলা রেখেছি
শোবার ঘরের জানালা,
ঈর্ষনীয় মধুরিমা চাঁদ
শহুরে স্হাপত্যের সৌন্দর্য্যকে 
উপেক্ষা করে আঁধো ঢাকা
মুখে আলো দিয়ে যেন
বলছে
আছি আমি
তোমাদের
বিবাগী মনের সুর লহরী হয়ে
আছি ভৈরবীর রাগে অনুরাগে,
আছি মধু ভোর অব্দি।।