• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:২৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০১৯, ০৮:৩৬ পিএম

চৈত্রসংক্রান্তি আজ

‘সবার প্রাণে লেগেছে মাতম দোলা’

‘সবার প্রাণে লেগেছে মাতম দোলা’

আজ শনিবার, ৩০ চৈত্র।১৪২৫ সনের চৈত্র মাসের শেষ দিন।নানা লোকাচার আর হালখাতার প্রস্তুতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে দিনটি।

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে আরও একটি বছর। রোববার (১৪ এপ্রিল) সূর্যোদয়ে আবাহনী গানে বরণ করে নেয়া হবে ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৬’-এর পহেলা বৈশাখকে। আনন্দ-হিল্লোল, উচ্ছ্বাস-উষ্ণতায় দেশবাসী আবাহন করবে নতুন বছরকে।নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে এরইমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে জোর প্রস্তুতি। সবার প্রাণে লেগেছে মাতম দোলা। প্রাণে  প্রাণে বেজে উঠেছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই দৃপ্ত  আকাঙক্ষা— ‘‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ তোরা সব জয়ধ্বনি কর/ ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখীর ঝড়...তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’’

পহেলা বৈশাখের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মঙ্গল  শোভাযাত্রা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৈবেদ্য কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে এবারের স্লোগান ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’। পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর পরই সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের দ্বিতীয় ফটকের সামনে থেকে বের হবে মঙ্গল  শোভাযাত্রা। নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

চৈত্রসংক্রান্তি বাংলার লোক-সংস্কৃতির এমন এক অনুষঙ্গ, যা ঐতিহ্যবাহী লোকউৎসবের আমেজে বর্ণিল। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, পালাগান, বাউলগান, লাঠিখেলা, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, আবৃত্তি, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর ভূত তাড়ানোর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে চৈত্রসংক্রান্তি।

বাংলার চিরায়ত রীতি অনুযায়ী বছরের শেষ দিনের উৎসবকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের চড়ক পূজা চৈত্রসংক্রান্তির এক প্রাচীন ঐতিহ্য। নতুন বছরকে বরণের প্রস্তুতির পাশাপাশি শেষ দিনটিতে থাকে বর্ষ বিদায়ের নানা আয়োজন। এদিনটিতে পুরান ঢাকায় ভূত তাড়ানো হয়। ওঝা সেজে হাতে ঝাড়ু নিয়ে বিশেষ ভঙ্গিমায় ছোট শিশুরা ভূত তাড়ানোর খেলায় মেতে ওঠে।

শিল্পকলা একাডেমি, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, সুরের ধারা, সামাজিক সংগঠন ঢাকাবাসীসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বের হবে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। রঙ-বেরঙের মুখোশ পরে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এ শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন।

চৈত্রসংক্রান্তি প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও অসাম্প্রায়িক অগ্রসর সমাজের এক বৃহত্তর লোকউৎসব এখন। সাধারণভাবে বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে স্থান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পূণ্যে কাজ বলা মনে করা হয়। 

চৈত্রসংক্রান্তির প্রধান উৎসব ‘চড়ক’। এর সঙ্গে চলে গাজনের মেলা। চৈত্র মাসজুড়ে উপবাস, ভিক্ষান্নভোজন প্রভৃতি নিয়ম পালন করার পর সংক্রান্তির দিন সন্ন্যাসীরা কিংবা সাধারণ লোকের কারও কারও শূলফোঁড়া, বাণফোঁড়া ও বড়শি গাঁথা অবস্থায় চড়কগাছে (উঁচু করে পোতা কাঠে) ঘোরা, আগুনে হাঁটা প্রভৃতি ভয়ঙ্কর ও কষ্টসাধ্য দৈহিক কলাকৌশল দেখা যায়। অবশ্য এখন এ ধরনের বিপজ্জনক খেলা এখন আরও তেমন দেখা যায় না।

বাংলা বছরের শেষ দিনটিতে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। নকশা করা রঙিন কাগজ-জরি আর নানা রকম ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলেন সাধ্যমতো বর্ণিল করে। লালসালুতে মোড়া হালখাতাও তৈরি করেন এদিনেই। পরদিন নববর্ষে দিনব্যাপী চলবে হালখাতার উৎসব।

দেশের হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে যুগ যুগ ধরে চৈত্রসংক্রান্তির বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন  করা হয়। এর মধ্যে বারোয়ারি মেলা অন্যতম। বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, দিনাজপুরের ফুলছড়িঘাট ও কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চৈত্রসংক্রান্তির মেলা বসে।

শহরাঞ্চলের নগর সংস্কৃতির আমেজেও চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব বা মেলা বসে। তা এক সর্বজনীন মিলনমেলায় পরিণত হয়। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে নানা সংগঠন ও ব্যবসায়িক সমাজ গ্রহণ করেছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

ঢাকার পহেলা বৈশাখ মানেই ভোরবেলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এবং তারপরেই চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ  দু’টাই যেন মূল অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ঢাকাবাসীদের জন্য।

ছায়ানট

এবারও রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানাবে ছায়ানটের শিল্পীরা। পহেলা বৈশাখের এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছেন ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

১৯৬৬ সাল থেকে বাংলা নতুন বছর বরণের সাংস্কৃতিক আয়োজন করে আসছে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানট। তাদের হাত ধরে এদেশে লালিত হয়েছে বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনা।

এ বছরও গানে গানে নতুন বছরকে বরণ নেবেন তারা। নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়ের মুহূর্তে প্রভাতি রাগে বর্ষবরণের এই আয়োজন হবে এবার আরও নান্দনিক।

ছায়ানটের সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল জাগরণকে জানান, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আমাদের মহড়া অনেকদিন ধরে চলে। প্রায় এক মাস।এবারও হয়েছে।

তিনি জানালেন প্রায় দেড়শ’ শিল্পীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুখরিত হয়ে উঠবে রমনার বটমূল। ১৫টি একক গান থাকবে এবং ১২টি সম্মেলক গান থাকবে এবারকার আয়োজনে। থাকবে পাঠ ও আবৃত্তি।বর্ষকথনে অংশ নেবেন ছায়ানটের সভাপতি ড. সনজীদা খাতুন।

চারুকলা অনুষদ

চারুকলায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে মুখোশ, মাটির জিনিস এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার সব প্রতীক তৈরির কর্মযজ্ঞ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাত-দিন পরিশ্রম করে এসব কাজে স্বেচ্ছায় অংশ নিচ্ছে ইন্সটিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে টিএসসি  প্রাঙ্গণ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে শোভাযাত্রা বের হবে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ৩০ বছর পূর্তি হবে এ বছর। ১৯৮৯ সালে সামরিক স্বৈরশাসনের হতাশার দিনগুলোতে তরুণরা এটা শুরু করেছিল। তারপর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই শোভাযাত্রা বের হয়। এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য— ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’।

মঙ্গল শোভাযাত্রার পুরোভাগে থাকবে মহিষ, পাখি ও ছানা, হাতি, মাছ, বক, জাল ও জেলে, ট্যাপা পুতুল, মা ও শিশু এবং গরুর আটটি শিল্পকাঠামো। থাকবে পেইন্টিং, মাটির তৈরি সরা, মুখোশ, রাজা-রানির মুখোশ, সূর্য, ভট, লকেট ইত্যাদি।

মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা থেকে চিরাচরিত রুটেই যাবে।পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। কারণ চতুর্দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মানবশিল্ড গঠন করা হবে।

সুরের ধারা ও চ্যানেল আই

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে সুরে সুরে ১৪২৫ সনকে বিদায় জানাবেন সুরের ধারা ও চ্যানেল আই। প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে এই  চৈত্রসংক্রান্তি বা বর্ষবিদায় উৎসবে অংশ নেবেন শিশু শিল্পীসহ বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা।তারা মধ্যরাত পর্যন্ত পরিবেশন করবেন সম্মেলক সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য ও নৃত্যনাট্য। রাত ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করবে।পরদিন রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় একই ভেন্যুতে বর্ষবরণ উৎসবে দেশের জনপ্রিয় নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ, গানের রাজা ও বাংলার গানের শিল্পীরা নানা পরিবেশনায় অংশ নেবেন। নৃত্য পরিবেশন করবেন চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ের শিল্পীরা। থাকবে একদল তরুণীর অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। আয়োজনে বর্ণিলতা যুক্ত করতে থাকবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। মেলার স্টলগুলোয় শোভা পাবে বাঙালির হাজার বছরের বিভিন্ন ঐতিহ্যের উপাদান, বৈশাখের হরেক রকম পণ্য সামগ্রী। আরও থাকবে পিঠা-পুলি, মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বেত, কাঁথা, পিতল, পাট-পাটজাত দ্রব্যের জিনিসপত্রসহ রকমারি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ নানান পণ্যসামগ্রী।বর্ষবরণ উৎসব দুপুর ২টা পর্যন্ত চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করবে।

এই প্রসঙ্গে সুরের ধারার সভাপতি ও প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাগরণকে বলেন, আমাদের আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য সাংস্তৃতিক নানা আয়োজনে দেশ ও মানুষের কল্যাণ চাওয়া। আর সেটাই হবে এবারকার আয়োজনে।

গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন

আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলা সনের শেষ দিন এবং নববর্ষের আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজন করেছে ঐতিহ্যবাহী চৈত্রসংক্রান্তি অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৫৫ পর্যন্ত থাকছে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনভুক্ত বিভিন্ন দলের পরিবেশনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদসহ দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা অংশ নেবেন।

চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- জাতীয় সঙ্গীত, বাউলগান, পালাগান, সরোদ বাদন, নৃত্য ও বিভিন্ন নাটকের দলের কোরিওগ্রাফি।

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে ঢাকার নাট্যদল প্রধানদের বিশেষ সম্মাননা দেয়া হবে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের পক্ষ থেকে। এই অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।

ঢাকাবাসী

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণ থেকে ‘অগ্নিকাণ্ড থেকে হোন সাবধান/প্রতিরোধে নির্বাপণে হোন আগুয়ান’ স্লোগান ধারণ করে চৈত্রসংক্রান্তির শোভাযাত্রা বের করবে সামাজিক সংগঠন ঢাকাবাসী।

বৈসাবি উৎসব

দেশের তিন পার্বত্য জেলা— রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি  চলছে উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মী-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’। বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজু এই নামগুলোর আদ্যক্ষর নিয়ে বৈসাবি শব্দের উৎপত্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা বৈসাবি উৎসবকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দিনটির  নাম ‘ফুলবিজু’। এ দিন শিশু-কিশোররা ফুল তুলে ঘর সাজায়। দ্বিতীয় দিন  হলো ‘মুরুবিজু’। এদিনে হয় মূল অনুষ্ঠান। এদিন নানা রকম সবজি নিয়ে তৈরি হয় ‘পাজন’ নামে নিরামিষ খাবার। এটি বৈসাবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এছাড়া নানা  ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। অতিথিদের জন্য এদিন সবার ঘরের দরজা খোলা থাকে।

এসএমএম