• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৩:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৩:৪৬ পিএম

‘মুক্তিকামী মানুষের সপক্ষে সোচ্চার ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর’

‘মুক্তিকামী মানুষের সপক্ষে সোচ্চার ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর’
‘কবি সিকান্দার আবু জাফর ও তার সময়’ শীর্ষক একক বক্তব্য রাখেন কবি আসাদ চৌধুরী -ছবি : জাগরণ

সাম্প্রদায়িকতা, দুর্ভিক্ষ, গণতন্ত্রহীনতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে আগাগোড়া সোচ্চার ছিলেন সিকান্দার আবু জাফর। নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সব সময় তিনি ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা। জন্মশতবর্ষের শুভলগ্নে তার মতো অসাধারণ কবি, গীতিকার, পথিকৃৎপ্রতিম সম্পাদক এবং সর্বোপরি অনন্য মানবতাবাদী ব্যক্তিত্বের অভাব আজ বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে।

‘কবি সিকান্দার আবু জাফর ও তার সময়’ শীর্ষক একক বক্তৃতানুষ্ঠানে কথাগুলো বলেছেন কবি আসাদ চৌধুরী।

বুধবার (১৫ মে) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি সিকান্দার আবু জাফর স্মরণে একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই কবি আসাদ চৌধুরী এ সব কখা বলেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক ও কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

আসাদ চৌধুরী বলেন, সিকান্দার আবু জাফরের গল্প, উপন্যাস এবং প্রবন্ধ-নিবন্ধ, সম্পাদকীয় সর্বত্রই বাংলাদেশ ও তার শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তি, মানবতার জয়গান বাঙ্খময় হয়ে উঠেছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী এবং আন্তর্জাতিকতাবাদী। তাই সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুক্তিকামী মানুষের সপক্ষে সোচ্চার ছিল তার ক্ষুরধার কলম। তার সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা সমকাল-এর সম্পাদকীয় নিবন্ধেও আমরা একজন প্রগতিশীল মানবতাবাদী লেখকের কণ্ঠস্বর শুনতে পাই।

তিনি আরও বলেন, এই পত্রিকায় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি বাঙালি জাতিসত্তার অনূকুলে লিখিত গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন অসম সাহসিকতায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রচিত তার বিখ্যাত কবিতা সঙ্কলিত হয়েছিল ‘বাঙলা ছাড়ো’ কাব্যগ্রন্থে।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, কবি সিকান্দার আবু জাফরের কবি ও গীতিকার সত্তা অভিন্নপ্রায়। তবে তার জীবনের সেরা কীর্তি সমকাল পত্রিকা সম্পাদনা। এই পত্রিকার পাতায় পাতায় তার রুচি ও সাহসের পরিচয় মুদ্রিত আছে। এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ‘বাঙলা ছাড়ো’, ‘জনতার সংগ্রাম’ কিংবা ‘আমার অভিযোগ’-এর মত রচনা নানাভাবে প্রেরণা যুগিয়েছে।

এর আগে স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, সিকান্দার আবু জাফর ছিলেন বহুমুখী মননের মানুষ। তার কবি ও গীতিকার সত্তা উৎসর্গিত হয়েছে জনমানুষের মুক্তির আবাহনে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেমন তার সাহসী সাহিত্যিক ভূমিকা ছিল তেমনি স্বল্পায়ু জীবনে তিনি মানুষের মানবিক অধিকারের পক্ষে সবসময় ছিলেন সোচ্চার। তার সম্পাদিত সাহিত্যপত্র সমকাল বাংলা সাময়িকপত্রের ইতিহাসে অসাধারণ উচ্চতর স্থান অধিকার করে আছে।

দর্শকসারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন কবি রুবী রহমান, কবি কাজী রোজী, ড. ইসরাইল খান, নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক এবং সিকান্দার আবু জাফরের কন্যা কবি সুমী সিকান্দার।

এসএমএম