• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৪, ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম

প্রতিক্রিয়া

বাজেটে সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে

বাজেটে সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে
রামেন্দু মজুমদার ও গোলাম কুদ্দুছ (ডানে)

প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা বলেছেন, এই খাতে যেখানে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে উল্টো কমানো হয়েছে। একটা কাম্য নয়। কেন-না ক্ষমতাসীন দল বরাবরই অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বির্নিমাণের কথা বলছে। সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ালে সংস্কৃতিকর্মীরা সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি কাজ করতে পারবে। এতে অসম্প্রদায়িক চেতনা এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী চেতনা মানুষের মনে জাগরিত হবে। তাই সরকারের উচিত সংশোধিত বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো।

শুক্রবার (১৪ জুন) আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক জাগরণকে তারা এসব কথা বলেন।

নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৭৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কম। গত অর্থবছরের এ খাতে সংশোধিত বাজেটে ছিল ৬২৫ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, যেখানে আমরা বাড়ানোর জন্য দাবি করছি সেখানে কমানোটা যুক্তি সঙ্গত নয় এবং এটা খুবই হতাশাজনক। কেন-না এটা হচ্ছে আসল বিনিয়োগ, দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ। এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মনে করি। দেশব্যাপী শুদ্ধ সংস্কৃতিচর্চাকে এগিয়ে নিতে চাইলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, মূল বাজেটের এক শতাংশ করা হোক সংস্কৃতিখাতে বরাদ্দ।

তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতিখাতে বরাদ্দ বাড়ালে সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংস্কৃতিকর্মীরা কাজ করতে পারবেন। এর ফলে অসম্প্রদায়িতক চেতনা এবং জঙ্গিবাদ বিরোধী চেতনা মানুষের মনে জাগরিত হবে।

ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অভিভাবক সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। তিনি বলেন, এই বাজেট দেখে আমরা খুবই হতাশ ও বিস্মিত। সংস্কৃতিখাতে মূল বাজেটের ১ শতাংশ করার দাবি ছিল আমাদের। সেটা করা হয়নি। এখনও সুযোগ আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি সংস্কৃতি খাতের বাজেট বাড়ানো হোক।

তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেই আমরা কেবল সংস্কৃতিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে গলা ফাটাইস অথচ বাস্তবে সংস্কৃতিচর্চাকে লালনের জন্য কোনও পৃষ্ঠপোষকতা করি না।

জেডএইচ/এসএমএম