জাগো বিদ্রোহি
কালভৈরবী বিদ্রোহী কবি
বিপ্লবী মসিয়াল,
ঘুচায়ে মৃত্যু ওঠো হে জাগিয়া
ডাকিতেছে মহাকাল।
ডাকিতেছে তব মজুর-শ্রমিকে
ডাকিতেছে দুখী পিতা,
ডাকিতেছে কবি বঞ্চিত শত,
অকালের ধর্ষিতা।
ওহে কাণ্ডারি ডাকিতেছে মাঝি
মাস্তুল ভাঙে ঝড়ে,
ডাকিতেছে তব ভুখা-কাঙালের
হাহাকার ঘরে ঘরে।
চিত্ত কাঁপায়ে বাবরি ঝাঁকায়ে
হাঁকাও হে হুঙ্কার,
ভ্রষ্টবোধের কেষ্টবাদীরে
করে দাও হুঁশিয়ার।
সাম্যবাদিরা বিবাদী এ কালে
আবাদি সুবিধাবাদী,
নিষ্ঠার চাকা পথে পড়ে একা
গবাদি সামালে গদি।
সত্যান্বেষী পড়িতেছে ধসি
পাপাচারী করে গ্রাস,
নিষ্ঠা, সততা, বোধ, মানবতা-
বধ্যভূমির লাশ।
রাম মারে বাণ, দেয় আলী প্রাণ
রাবন-এজিদ হাসে,
বিভীষণ শত ইন্দ্রের মত
দেবতার আশে পাশে।
নরখাদকেরা বিশ্রামে দ্রোহি
নরেই নরেরে খায়,
সৃষ্টির সেরা ভোগে দিশাহারা-
হতবাক বিধাতায়!
রক্ষক জনে ভক্ষক আজি
করিছে সর্বনাশ,
বিবস্ত্র দেহ-বেদীতে চলিছে
পিশাচের উল্লাস।
ধ্বংসের লীলা, তবু তার মাঝে
ধিক ধিক অঙ্গার,
আজো জালামুখী বুদ বুদ তোলে,
কাণ্ডারি দরকার।
দ্রোহরাজ, তুমি জাগো আজ
ঘুচো রাহুগ্রাস, জ্বালো আলো,
সেই ক্ষুরধার মসি শাণ দাও কষি
কাব্যের লাভা ঢালো।
জাগো কৈলাশপতি, ঝঙ্কার গতি
উন্নত মম শির,
জাগো কাণ্ডারি, দ্রোহি ঝটাধারী
সেই শিখর হিমাদ্রির।
কবি : এস এম সাব্বির খান
সহ-সম্পাদক, দৈনিক জাগরণ।