• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৮, ২০২১, ১২:৪৭ পিএম

শিল্পকলার ইতিহাসে নারী শিল্পীদের অবদান

শিল্পকলার ইতিহাসে নারী শিল্পীদের অবদান

প্রতিভার কোনো লৈঙ্গিক পরিচয় নেই।  মানুষের সৃজনশীলতার প্রকাশ ও বিকাশ ঘটে মস্তিষ্ক এবং হাতের ক্রিয়াশীলতার সমন্বয়ের মাধ্যমে। সেখানে লিঙ্গ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে না বা বিঘ্নও ঘটাতে পারে না। তা সত্ত্বেও মানুষের আত্মপরিচয়ের একটি সুস্পষ্ট নিদের্শক হলো লৈঙ্গিক পরিচয়। নারী শিল্পীরা তাদের লৈঙ্গিক পরিচয়ের অভিজ্ঞতাকে তাদের সৃজনশীলতার মাধ্যমে অভিব্যক্ত করতে চেয়েছেন।

সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই নারীদের শিল্পচর্চা বা সৃজনশীলতার চর্চার প্রমাণ মেলে। রেঁনেসার সময়েও নারীশিল্পীদের অবদান ছিলো এবং আধুনিক সময় অবধি সেই যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। শিল্পকলার ইতিহাসে নারীশিল্পীদের অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পকলার নানা শাখায় তাদের ঋদ্ধিমান বিচরণ ও অবদান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নারীশিল্পীদের তাদের সমাজের ও জীবনের অনেক বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তাঁরা নিজেদের পথ চলেছেন এবং ভবিষ্যৎ নারীশিল্পীদের পথ দেখিয়েছেন। অনেক নারীশিল্পী নারীবাদের শক্তিতে বলিয়ান আবার অনেক নারীশিল্পী লৈঙ্গিক পরিচয়ের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে শুধু শিল্পী হিসেবে ভাবতেই ভালোবাসেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন নারীশিল্পীদের কথা আজ আমরা জানবো।

আর্টেমিসিয়া জেন্টিলিস্কি

বারোক শৈলীর অসাধারণ প্রতিভাবান শিল্পী আর্টেমিসিয়া জেন্টিলিস্কি ১৫৯৩ খ্রিস্টাব্দের, রোমে জন্মগ্রহণ করেন। আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী এই শিল্পী লৈঙ্গিক পরিচয়ে একজন নারী ছিলেন। আত্মপরিচয়ের উপসংহার টানতে গিয়ে, একটি চিঠিতে লিখেছিলেন–‘আমার নারী আত্মায় যেন সিজারের প্রাণশক্তি’। শিল্পকলার ইতিহাসে অনেকটা সময় তাঁর অস্তিত্ব ছিল লুকায়িত। তাঁকে কোনো শিল্পকলার ইতিহাসবিদ মর্যাদা সহকারে লেখনিতে ও আলোচনাতে স্থান দেননি। তাঁকে সাধারণ বারোক শিল্পীদের সমকক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিলো। ১৬৫৩ খ্রিস্টব্দের পর থেকে আর্টেমিসিয়ার খোঁজ পাওয়া যায় না, অনেকে মনে করেন  ১৬৫৬ সাথে মৃত্যুবরণ করেন।  আর্টেমিসিয়া নেপলস থেকে ডন রাফোকে চিঠিতে লিখেছিলেন– ‘শিল্পকর্মগুলোই একদিন বাঙ্ময় হয়ে উঠবে’।

অমৃতা শের-গিল

শিল্পী অমৃতা শের-গিল ( ১৯১৩ -১৯৪১) শিল্পকলার জগতে একটি বিতর্কিত অণুগল্পের নাম, মাত্র ২৮ বছরের যাপিত জীবনের সেই অণুগল্পটির নাম হতে পারে ‘মোহনা’। অমৃতার শিল্পশৈলীও মোহনার মত, যেখানে মিলিত হয়েছে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের শিল্পশৈলী। তবে এই দুই শিল্পশৈলীর শৈল্পিক সঙ্গমে নতুন কোনো চিত্রশৈলী সৃষ্টির পূর্বেই শের-গিলকে প্রস্থান করতে হয়েছে জীবনের মঞ্চ থেকে। অমৃতার শিল্পসৃষ্টির শৈলী এবং অমৃতার জীবনযাপনের ধরন, দুটোই ছিলো এই উপমহাদেশীয় ঐতিহ্যের ও প্রথাগত শিল্পচর্চায় প্রতিবাদ সরূপ। সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে যা ছিলো বেশ বিশৃঙ্খল আর সমালোচকের ভাষায় তিনি ছিলেন, ‘অতি আত্ম-সচেতন আত্মাম্ভরিতাপূর্ণভাবেই শৈল্পিক’।  ভারতের ইতিহাসের অমাবস্যার মতো গভীর এক অন্ধকার সময়ে অমৃতা নাক্ষত্রিক ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসেন সেই অন্ধকারকে কিছুটা বিশ্রাম দিতে।

 

জর্জিয়া ও’কিফ


আমেরিকান শিল্পী জর্জিয়া ও’কিফ (১৮৮৭–১৯৮৬) একবার বলেছিলেন শিল্পী হওয়া একরাতের বিষয় নয়, যেটা কোনো লেখক বা সংগীতশিল্পীদের ক্ষেত্রে ঘটা সম্ভব যে, রাতারাতি কিছু হয়ে ওঠা, কিন্তু একজন চিত্রশিল্পী হতে গেলে প্রয়োজন দীর্ঘযাত্রার, প্রকৃত শিক্ষার এবং সাধনার। জর্জিয়া দীর্ঘসময় ধরে, অত্যন্ত সফলভাবে যাত্রাটিকে চালিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন,  তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের পথে। এবং সেই দীর্ঘ শিল্পযাত্রায় তিনি জন্ম দিয়েছিলেন অগণিত সন্তানতুল্য শিল্পকর্ম। কারণ জর্জিয়া ও’কিফের লৈঙ্গিক পরিচয় তিনি একজন নারী; প্রাকৃতিক নিয়ম মাফিকই মাতৃত্বের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন জীবনে। জর্জিয়ার শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমরা সেই একান্ত ব্যক্তিগত রহস্যময় জগতের সাথে পরিচিত হই।  তিনি আমাদের চিরচেনা প্রকৃতির সাথে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেন। 

ফ্রিদা কাহলো

জীবদ্দশায় তাঁর পরিচিতি নানা সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকলেও, কোনো সন্দেহ নেই ফ্রিদা কাহলো (১৯০৭-১৯৫৪) আজ সর্বব্যাপী জনপ্রিয়-সংস্কৃতিতে এমন এক মর্যাদা অর্জন করেছেন, যার দৃষ্টান্ত দুর্লভ। আর সেকারণেই তাঁর জীবনী থেকে তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা পুরাণকে পৃথক করার কাজটি খুব কঠিন।  মেহিকোর একজন সাধারণ আলোকচিত্রীর কন্যা থেকে, আধুনিক বিশ্বের একজন বিখ্যাত শিল্পী হয়ে ওঠার যে দীর্ঘযাত্রা, অদৃষ্টবৈগুণ্যবশত সেটি ফ্রিদার জন্যে খুব একটা মসৃণ ছিলো না। জীবনযুদ্ধে অপরাভূত, অদৃষ্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, মৃত্যুকে কোলের পুতুল করে তিনি ঘুমিয়েছিলেন। আমৃত্যু শিল্পকলা আর জীবনের প্রতি তিনি সৎ ছিলেন। ফ্রিদা কাহলো তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছিলেন, সে কারণে আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তিনি একজন প্রগতিশীল আত্মবিশ্বাসী নারীর উদাহরণ। তাঁর এই ব্যপক জনপ্রিয়তার কারণ শিল্পকলা, আর তাঁর শিল্পকলা আত্মজৈবনিক হবার কারণেই তাঁর জীবনযুদ্ধের গল্পটি তাঁর শিল্পকর্ম অপেক্ষা আমাদের বেশী আকৃষ্ট করে। ফ্রিদা শিল্পকর্মে তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক ঘটনার বর্ণনা করে গেছেন, সেদিক থেকে বিচার করলে তাঁর শিল্পকলা আখ্যানমূলক।

ট্রেসি এমিন

ব্রিটিশ শিল্পী ট্রেসি এমিনকে (১৯৬৩- ) শিল্পকলার জগতে পরিচিত সাহসিকতার জন্য। তিনি  প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন যে, শিল্প সৃষ্টির থেকে শিল্পীর জীবনযাপন গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পীর জীবন যাপন যখন নান্দনিক ও দার্শনিক হয়ে ওঠে তখনই একজন শিল্পী সফল হন। এবং তিনি এই দুয়ের সমন্বয়ে, অসাধারণ সব শিল্পকর্ম নির্মাণ করে যাচ্ছেন। ট্রেসি লেখক হতে চেয়েছিলেন, স্বতঃস্ফূর্ত লিখতে জানেন।  শিল্পীর অনুপ্রেরণা বিখ্যাত শিল্পী এডভার্ড মুঙ্ক, ইগন সিলাহ, লুইস বর্জুয়া প্রমুখ। তিনি লুইস বর্জুয়ার সঙ্গে প্রদর্শনী  করেছেন। শিল্পীর কাজের মাধ্যম বহুমাত্রিক;   রেখাচিত্র থেকে শুরু করে নিয়নবাতি, ভাস্কর্য, সেলফি ফটোগ্রাফি, সব মাধ্যমেই তাঁর বিচরণ অব্যাহত রেখেছেন। খুব অল্প বয়সে  ধর্ষণের শিকার হন, সেই স্মৃতি তাকে তাড়া করে ফেরে। তাঁর শিল্পকর্ম মূলত আত্মজৈবনিক, সে কারণে তাঁর শিল্পচর্চায়, নারী জীবনের কথা উঠে এসেছে, যার সাথে অনেকেই নারীবাদকে যুক্ত করে থাকে। তবে তিনি মোটা দাগে নারীবাদী নন। রয়্যাল অ্যাকাডেমির দ্বিতীয় নারী শিক্ষক হিসেবে তিনি নিয়োজিত হয়েছেন।

কামিল ক্লদেল

ফরাসী শিল্পী কামিল ক্লদেল (১৮৬৪-১৯৪৩) স্বতন্ত্র একজন শিল্পী হিসেবে পরিচিত হবার পূর্বে ভাস্কর রদ্যাঁর শিক্ষার্থী, সহকারী, প্রেমিকা অথবা কলালক্ষী হিসেবে বেশী পরিচিত ছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন আত্মাশ্রয়ী রমণী, আত্মপরিচয়ে পরিচিত হতে চেয়েছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে আজীবন কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করে গেছেন। একটা সময় কামিলের প্রতিভা পরিচিত ছিলো সীমাবদ্ধ পরিমণ্ডলের মধ্যে। কামিল শুধু একজন প্রতিভাবান ভাস্কর ছিলেন না, তিনি ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী একজন নারী, যার সৌন্দর্য ছিলো হৃদয়ের গভীর পর্যন্ত। জ্ঞানের প্রতি ছিলো তাঁর অসীম ভালোবাসা, শিল্পকলার প্রতি ছিলো শুদ্ধ সততা। কামিল ছিলেন স্বাধীনচেতা, সংবেদনশীল, বুদ্ধিমতি এবং আত্মবিশ্বাসী একজন নারী। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন মমতাময়ী। প্রেমিকা হিসেবে ছিলেন অসাধারণ এবং তুলনাহীন। জীবনের দীর্ঘসময় তাঁকে কাটিয়ে দিতে হয় নির্বাসনে, মানসিক হাসপাতালের শীতল একটি কক্ষে। কামিলের জীবনকে একটি শব্দে বর্ণনা করতে বলা হলে সেই শব্দটি হবে ‘দুর্দৈব’ আর তাঁর শিল্পকর্মকে একটি শব্দে বর্ণনা করতে বলা হলে, সেই শব্দটি হবে ‘সম্পর্ক’। নিয়তি এবং সম্পর্ক দুটোই; কামিল ও শকুন্তলার জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত।

লুইস বর্জুয়া

নারীরা ভাস্কর্য নির্মাণের যোগ্য নয়, তাদের উচিৎ চিত্রকলার চর্চা করা এমনটা অনেকেরই বিশ্বাস হলেও সেই বিশ্বাসকে অনেক শিল্পীই মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন। তাদের মধ্যে ভাস্কর লুইস বর্জুয়ার (১৯১১-২০১০) নামও আমরা স্মরণ করতে পারি।  লুইস দীর্ঘজীবনের অধিকারী ছিলেন, সেই দীর্ঘসময় ব্যয় করেছেন জ্ঞান ও শিল্পচর্চা করতে। এই দুয়ের সমন্বয়ে অসাধারণ শিল্পকলা সৃষ্টি করে গেছেন। তিনি মূলত বিমূর্ত এবং মনোজাগতিক ভাস্কর্যের জন্য প্রসিদ্ধ। তাঁর দৈত্যাকার মাকড়সার ভাস্কর্যের জন্য সুপরিচিত হলেও চিত্রকলা ও ছাপচিত্র দিয়ে তাঁর শিল্পীজীবনের যাত্রা শুরু। তাঁর সামগ্রিক শিল্পচর্চাকে আত্মজীবনীমূলক বলা যেতে পারে। সেই চর্চা খুব প্রকটভাবে যৌনসম্বন্ধীয় এবং মানবমানবীর সম্পর্কের জটিলতার কথা বলে। তাঁর ভাষায় এগুলো নারীবাদী শিল্পকর্ম।

শিরিন নিশাত

শিল্পী শিরিন নিশাতের জন্ম (১৯৫৭) ইরানে, এরপর উদার মানসিকতার বাবার হাত ধরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। চিকিৎসক বাবার স্বপ্ন সন্তানেরা  উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। ভাইবোনেরা সাধারণ-প্রথাগত জীবন বেছে নিলেও শিরিন বেছে নিয়েছিলেন শিল্পকলাকে। আত্মপরিচয় প্রকাশের হাতিয়ার হিসেবে। ক্রমান্বয়ে তাঁর প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে। তাঁর অসাধারণ আর স্বতন্ত্র  শিল্পকর্মের জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে বিখ্যাত।  স্বদেশত্যাগী এই শিল্পীর কাজের বিষয় বস্তু হলো: আত্ম-অনুসন্ধানের ইতিকথা তথা ইরানী সমাজে নারীদের অবস্থান। সেই সব না-বলা কথা, বলে যাওয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়ভাবে অবরুদ্ধ নারীদের জীবনে সবকিছুই স্তব্ধ সেখানে। প্রেম, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা আসে নীরবে আবার নীরবেই ডুকরে মরে। প্রকাশহীন বাকরুদ্ধতা, বুকের চাপাকষ্ট, আপদমস্তক কালো লেবাসে মোড়া, শুধু দুই চোখ বাঙ্ময় হয়ে থাকে যেন।

শিল্পী মারিনা আব্রামোভিচকে একবার একটি সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, তিনি নারীবাদী কিনা। তিনি সরাসরি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘না’। তবে তিনি কী? মারিনা আব্রামোভিচকে, ‘পারফর্মিং আর্টের গ্র্যান্ডমাদার’ বলা হয়। মারিনা খুব সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন। এবং আমরা জানি একজন আপাদমস্তক সৎ মানুষই তাঁর মুখে ও মনে এক হতে পারেন। মারিনা ‍শুধু কথায় নয়, কাজেও অসম্ভব সৎ এবং সাহসী একজন শিল্পী। মারিনার জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০ নাভেম্বরে ইউরোপের সার্বিয়ার বেলগ্রেদে কিন্তু শিল্পী আজও তারুণ্যে ভরপুর। সমসাময়িক উত্তর আধুনিক শিল্পকলার জগতে তিনি এখনও কর্মরত রয়েছেন। মারিনার হাত ধরেই পারফমিং আর্ট আজকের অবস্থানে এসেছে।

“শিল্পকর্ম বলে কিছু নেই, শুধু আছে শিল্পী”—ব্রিটিশ শিল্পকলার ইতিহাসবিদ, আর্নস্ট গমব্রিখের সেই অমর উক্তির সূত্র ধরে বললে—শিল্পকলার কোনো লৈঙ্গিক পরিচয় নেই কিন্তু শিল্পীদের রয়েছে। শিল্পীর অস্তিত্ব রয়েছে বলেই শিল্পকলার জন্ম সম্ভব। অধিকন্তু কোনোকিছু সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ এক প্রক্রিয়ার এবং প্রস্তুতির। সেই প্রক্রিয়া অবশ্যই যন্ত্রণাময়; যন্ত্রণা ব্যতীত সৃষ্টি সম্ভব নয়। নারী বা পুরুষ সব শিল্পীদেরই সৃষ্টির জন্য যন্ত্রণাময় দীর্ঘ এই প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়। শেষ পর্যন্ত যাত্রাটাকে চালিয়ে নিতে যিনি পারেন, তিনি হন সফল শিল্পী।

টরোন্টো, মার্চ ২০২১