• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২১, ০৮:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৭, ২০২১, ০৮:৩৪ পিএম

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে তাদের আপত্তি নেই

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে তাদের আপত্তি নেই

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে কে আসছেন এই আলোচনা এখন সর্বত্র। সংস্কৃতি অঙ্গন ছাপিয়ে সচেতন সব মহলেই প্রশ্নটি আলোচনায় রয়েছে। কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মৃত্যুর পর থেকেই এ প্রশ্নটি বারবার উঠে আসছে। সঙ্গে উঠে আসছে বেশ কিছু প্রস্তাবনা।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিদিনই মহাপরিচালক পদে নতুন নতুন বিদগ্ধজনের নাম প্রস্তাব আকারে আসছে। আসছে নানা মন্তব্যও। এরমধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন— সলিমুল্লাহ খান, সেলিনা হোসেন, কামাল চৌধুরী, মুহম্মদ নূরুল হুদা, বেগম আকতার কামাল, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আবু হাসান শাহরিয়ার ও ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।

বাংলা একাডেমির সম্ভাব্য মহাপরিচালক প্রসঙ্গে কবি অসীম সাহা জাগরণকে বলেন, ‘‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাকেই দেয়া হোক অনেক কাজ তাঁর। বর্তমানে একাডেমি বই ছাপা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, এখান থেকে বের হয়ে গবেষণাসহ অনেক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ পদের জন্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষকেই আমি এগিয়ে রাখব। সেলিনা হোসেন হলেও মন্দ হবে না।’’

যোগাযোগ করা হলে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন জাগরণকে বলেন, ‘‘আপনারা যেমন গুঞ্জন শুনেছেন, আমিও শুনেছি। আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমিও নিজ থেকে কখনো যোগাযোগ করব না। তবে সরকার যদি চায় তাহলে দায়িত্ব গ্রহণ করতে আপত্তি নেই।’’

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা জাগরণকে বলেন, ‘‘এর আগেও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদের জন্য আমার নাম আলোচিত হয়েছে। আলোচনায় এলেই তো হয়ে যায় না, এসব নিয়ে আমি ভাবছিও না। একজন কবির যা কাজ সেগুলো আমি করে যাচ্ছি, করে যাব। গুঞ্জনে কান দেয়ার সময় নেই।’’

এ পদের জন্য আপনাকে প্রস্তাব করা হলে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, ‘‘এখনই বলতে পারছি না। প্রস্তাব এলেই বলা যাবে। এজন্য আমি উৎসাহী নই আবার অনাগ্রহও নেই।’’

এদিকে, মহাপরিচালকের পদের জন্য বলা হলে আপত্তি করবেন না বলে জানিয়েছেন কবি অসীম সাহাও।

কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ মে মারা যান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমান।

মহাপরিচালক নিয়োগের বিষয়ে বাংলা একাডেমি আইনের ২৬ ধারার ২ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক এরূপ কোনো ফেলো অথবা প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বা গবেষকদের মধ্য থেকে সরকার মহাপরিচালক নিয়োগ করবে এবং তার চাকরির শর্তাবলী সরকার স্থিরীকৃত করবে।

২৬ এর ৫ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, মহাপরিচালকের পদ শূন্য হলে, বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে মহাপরিচালক তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে, নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সচিব অস্থায়ীভাবে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।