ক্যাসিনোতে কাজ করা নেপালিদের পালাতে সাহায্য করায় দুই পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা রাজধানীর মিন্টুরোডস্থ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট ওই দুই গোয়েন্দা পুলিশের নাম প্রকাশ করেননি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ করে কেউ আমার কাছে ছাড় পাবে না। যে অপরাধ করেছে তাকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
জানা যায়, রাজধানীতে যেসব ক্যাসিনো চলছিল সেগুলোর বেশীর ভাগই চালাতেন নেপালের নাগরিকরা। সব মিলিয়ে কমপক্ষে প্রায় ১০০ জন নেপালি এ কাজ করতেন। তাদের অনেকেই রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি বাড়ির একাধিক ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। গত বুধবার ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে পুলিশ সদস্য কয়েকজন বেশ নেপালি নাগরিকদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ গত শনিবার র্যাব সদস্যরা জব্দ করেন। জব্দকৃত ওই সকল ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে গোয়েন্দা পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পাশাপাশি নেপালিদের পালিয়ে যেতে সাহায্যকারী পুলিশ সদস্যদের সনাক্ত করা হয়। এরপরই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেন ডিএমপি পুলিশ কমিশনার।
জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয় গত বুধবার। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে ওই দিন মতিঝিলের ইয়ংমেনস, ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওইদিন এসব ক্লাব সিলগালা করে দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে জড়িত নেপালিরা সেগুনবাগিচার সামিট হাসান লজ নামের একটি বাসার ফ্ল্যাটে ছিলেন। গত বুধবার ক্যাসিনো অভিযানের সময় রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে ওই বাসায় একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য যান। তারা ওই ফ্ল্যাটে ৫০ মিনিট অবস্থান করে বেরিয়ে যান। এর পরপরই ১৫ নেপালি খালি হাতে ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান।
ওই বাসার দুই নিরাপত্তাকর্মী মামুন ও উজ্জ্বল বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দিয়ে নেপালিদের ফ্ল্যাটে যেতে চেয়েছিলেন। এ সময় তারা পুলিশের সঙ্গে সেখানে গেলেও পুলিশ সদস্যরা তাদের ফ্ল্যাটের ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে চলে যেতে বলেন। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায় এর ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এইচএ/একেএ