• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৩:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২০, ০৩:৫০ পিএম

গালফ নিউজকে প্রধানমন্ত্রী

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : গালফ নিউজের ওয়েবসাইট থেকে

● কিছু বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে ভারত

● ভারতে পাড়ি দেয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে নজির নেই

● রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ মিয়ানমার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করে বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তারা (ভারত সরকার) কেনো এটা (নাগরিকত্ব আইন সংশোধন) করলো আমরা বুঝি না। 

আবুধাবির গালফ নিউজকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।

সম্প্রতি তিনদিনের আরব আমিরাত সফরে গিয়ে ‘আবুধাবি সাসটেইনিবিলিটি উইক’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি’সহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।১৪ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দেশে ফেরেন তিনি।

তিনদিনের ওই কর্মসূচির ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গালফ নিউজকে ওই বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। 

ভারতীয়দের একাংশের প্রবল আপত্তি এবং বিক্ষোভ-আন্দোলনের মধ্যেই গত ১০ জানুয়ারি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার কথা জানান হয়। সংশোধিত এই নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলমানরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিষয়টিকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই বলে এসেছে সিএএ ও এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বারবার তাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করেছে এনআরসি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতে পাড়ি দেয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এমন নজির নেই।বাংলাদেশে ১ কোটি ৬০ লাখ হিন্দু বসবাস করছেন। 

২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি সফরকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান।

শেখ হাসিনার মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে বাংলাদেশকে বেশ সহায়তা করছে ভারত।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু মিয়ানমারে। তাদের কাছেই এর সমাধান রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। এখন পর্যন্ত দু’বার প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনও রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চায়নি। ফলে বাংলাদেশের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমার আসলে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে, আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান তিনি। 

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের নানা উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।  

শতভাগ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করতে তার সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

এসএমএম

আরও পড়ুন