বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে মানুষ চিন্তিত। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাংলাদেশের এ রকম অবস্থা আর হয়নি।
রোববার ( ১৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রায় ৯টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। চাপাবাজি করে এগুলোকে জনগণ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়, সামাজিক ন্যায় বিচার ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। দেশে আইন নেই, আইনের শাসন নেই। দলীয়করণের কারণে বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট শাসন বজায় রাখার জন্যই খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগের কাঁধে বন্দুক ঠেকিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র পথ গণআন্দোলন। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করা হবে।
মোশাররফ বলেন, এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
টিএস/এসএমএম