• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৮, ০৭:৪০ পিএম

অনলাইনে সুগন্ধি বিনিময়

অনলাইনে সুগন্ধি বিনিময়

 

স্মার্টফোনে অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বার্তা পাঠাতে ও কথা বলতে পারি। এবার অনলাইনে পাঠানো যাবে সুগন্ধিও! মালয়েশিয়ার গবেষকরা সম্প্রতি সুগন্ধি পাঠানোর এ ডিজিটাল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।      

মালয়েশিয়ার গবেষকরা বলেন, ‘ডিজিটাল স্মেল’ প্রযুক্তির মাধ্যমে ম্যাসেজিং ও ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেই সুগন্ধি পাঠানো যাবে।

গবেষকদের দাবি, তারা এমন কিছু ইলেকট্রিক সুগন্ধি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা সত্যিই অভাবনীয়। যেগুলোর ঘ্রাণ অনেকটা ফল, কাঠ ও পুদিনার গন্ধের মতো।

ডিজিটাল ঘ্রাণ মানুষের নাসিকা রন্ধ্রের পিছনে থাকা নিউরোনে দুর্বল ইলেকট্রনিক কারেন্ট তৈরি করবে। ফলে নাক সহজেই গন্ধ অনুভব করতে পারবে। তবে এর আগে নাকের ভিতরে ছোট্ট একটি তার প্রবেশ করাতে হবে।

মালয়েশিয়ার ইমাজিনিরিং ইন্সটিটিউটের প্রধান গবেষক আদ্রিয়ান চিওক বলেন, এটি হবে একটি সমন্বিত ভার্চুয়াল বাস্লবতা।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরা যাক- কেউ ইন্টারনেটে বন্ধুদের সঙ্গে রাতের খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে গেছেন। বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে দূরে বসেও ওই ব্যক্তি খাবারের ত্রিমাত্রিক ছবি যেমন দেখতে পাবেন, তেমনি নিতে পারবেন খাবারের গন্ধও।

আদ্রিয়ান চিওক আরও বলেন, স্বেচ্ছায় গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩১ জনের ওপর ভিত্তি করে আমরা বেশ কটি ইলেকট্রিক ঘ্রাণ তৈরি করতে পেরেছি।

তিনি আশা করেন, আগামী এক দশকের মধ্যেই ইন্টারনেট চ্যাটিংয়ের সময় মানুষ সুগন্ধি একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবে।

তার মতে, বিভিন্ন রোগের কারণে অনেকে ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। আশা করছি, ডিজিটাল সুগন্ধি তাদের সেই শক্তি ফিরিয়ে দিতেও সাহায্য করবে।

তবে উদ্ভাবনটি নিয়ে এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের বিতর্ক। অনেক বিজ্ঞানী বলছেন, ডিজিটাল বা ইলেকট্রিক গন্ধ বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই।
এনএ