• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৯, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

২০২০ সালে মঙ্গলে হেলিকপ্টারে চূড়ান্ত পরীক্ষা চালাবে নাসা

২০২০ সালে মঙ্গলে হেলিকপ্টারে চূড়ান্ত পরীক্ষা চালাবে নাসা
ফ্লাইং হেলিকপ্টার-ইন্টারনেট

মঙ্গল গ্রহের লাল প্ল্যানেটে অন্বেষণ করতে হেলিকপ্টারে চূড়ান্ত পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসা।

স্কাই নিউজের এক অনলাইন প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘‘২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার হেলিকপ্টারটি মঙ্গল গ্রহের ক্র্যাটারের দিকে উড়ে যাবে।’’ 

ক্যালোফোর্নিয়াতে এই মিশনটির সিমুলেশন করার একটি সিরিজও নিয়েছেন তারা। তবে লঞ্চ অবতরণ অবস্থার অধীনে কীভাবে ধরে রাখবে এবং মঙ্গলের অভিজ্ঞতার মতো চরম তাপমাত্রার সুইংগুলো অনুকরণ করার জন্য একটি উচ্চ-কম্পন পরিবেশও অন্তর্ভুক্ত করেন তারা সেখানে।   

নাসার এক অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘স্বায়ত্বশাসিত পরীক্ষায় হেলিকপ্টারটিতে (৪এলবিএস) ১.৮ কেজি ওজনের একটি ক্যামেরা থাকবে আর এটি সৌর প্যানেল দ্বারা পরিচালিত করা হবে। এতে কোনও বৈজ্ঞানিক যন্ত্র থাকবে না। তবে নাসার এটি প্রোটোটাইপ ড্রোন ক্যামেরা হিসেবে লক্ষ্যে কতটা বৈজ্ঞানিক সংযুক্ত করা হতে পারে তা ভবিষ্যতে অনুরূপ করা যাবে। 

তবে স্পেস এজেন্সির ব্যক্তিগত মহাকাশচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্বোধনের জন্য আশা করছে তারা। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রথম কোনও নারী সেখানে অবতরণ করবেন এবং পরবর্তীতে সেখানে মানুষ দ্বারা বসবাসের উপযুক্ত স্থান করাবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক টুইট এ বলেন, ‘‘নাসা চাঁদে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়”।

তিনি আরও বলেন, এটা আমরা ৫০ বছর আগে করেছি। 

টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, মঙ্গল গ্রহ চাঁদের একটি অংশ যা প্রতিরক্ষা এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিসহ আমরা যা কিছু করছি তার অনেক বড় বিষয়গুলোতে তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত।যদিও মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টারের মিশনটি লাল প্ল্যানেটের ১৮তম বিকাল পর্যন্ত স্থল স্থাপন করতে পারবে না। ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক বাহিনীর দিকে যাওয়ার সময় আলোচনার জন্য বেশি সময়ও থাকবে না। 

নিজেদের এক অনলাইন প্রতিবেদনে নাসার বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘‘রোভার যা ১০৫০ কেজি (২,৩১৩ পাউন্ড) এর ভর রয়েছে, যা সহজেই গ্রহের পৃষ্ঠের ক্রুটারগুলোতে যুক্ত হতে পারে। এটিকে এড়িয়ে যাওয়ার আশায় রোভারটি প্রসেসর, সেন্সর এবং ট্রান্সমিটারের কনফিগারেশনগুলো পরীক্ষা করার সিমুলেশনগুলোর একটি দুর্দান্ত সিরিজের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়েছে। স্পেস সংস্থাটি উদ্ধৃত করে বলে, “পদার্থবিজ্ঞানের আইনগুললো মঙ্গলে উড়তে অসম্ভব বলে মনে হতে পারে, তবে লাল প্ল্যানেটে এই কাজ করাটা ভারি ভারি বিমান চালানোর চেয়েও এটা বেশি কঠিন।’’  

এমএইচএস/এসএমএম