• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ১১:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২১, ১১:৫৭ পিএম

কোনও মোবাইল ফোন বন্ধ হচ্ছে না

কোনও মোবাইল ফোন বন্ধ হচ্ছে না
প্রতীকী ছবি

গ্রাহক ভোগান্তি বিবেচনায় বৈধ-অবৈধ কোনও মোবাইল ফোনই বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, যেকোনো মুঠোফোন নেটওয়ার্কে চালু হলে তা বন্ধ না করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থায় কিছুটা পরিবর্তন আনছে সরকার। গত ১ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু হয়।

গত ১ অক্টোবর থেকে ব্যবস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করে বিটিআরসি। ব্যবস্থাটি চালুর পর অবৈধভাবে আনা মুঠোফোন শনাক্ত করা হচ্ছিল। সেসব মুঠোফোন প্রমাণ দিয়ে নিবন্ধনের জন্যও বলা হচ্ছিল।

তবে সাধারণ মানুষরা বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ও উপহার হিসেবে পাওয়া মুঠোফোন নিবন্ধনে ভোগান্তির কথা বলছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ব্যবস্থাটি চালুর পর থেকে এখনও বাজারে বিক্রি হওয়া মোট ফোনের ৭০ শতাংশই ফিচার ফোন। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। তাদের জন্য নিবন্ধন একটি ভোগান্তির কাজ। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ জানে না কীভাবে মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে বৈধ-অবৈধ যাচাই করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এসব বিষয় নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে আলাপ করেন। মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। সে অনুযায়ী বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিটিআরসি জানিয়েছিল, ১ অক্টোবর অবৈধ মুঠোফোন শনাক্তের ব্যবস্থা চালুর পরবর্তী তিন দিনে নেটওয়ার্কে নতুন করে সক্রিয় হয় ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫২টি মুঠোফোন। এর মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৬১টির তথ্য বিটিআরসির তথ্যভাণ্ডারে ছিল না। এর মানে হলো, এসব ফোন হয় অবৈধভাবে আমদানি অথবা প্রবাসীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে এসেছেন।

বিটিআরসির হিসাবে, নেটওয়ার্কে সক্রিয় সেটের সংখ্যা ২৩ কোটির মতো।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ