• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২১, ১২:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০২১, ১২:১৬ এএম

মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি হতে যাচ্ছে ১৫ এমবিপিএস

মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি হতে যাচ্ছে ১৫ এমবিপিএস
প্রতীকী ছবি

টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ফোর-জি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধিতে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে।

দেশের মানুষের উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি ১৫ এমবিপিএস ও ব্রডব্যান্ডের ২০ এমবিপিএস নিশ্চিত করা হবে।

গত ১২ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির প্রতিনিধি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমান মানদণ্ড অনুযায়ী, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যুনতম গতি যথাক্রমে ১০ ও ৭ এমবিপিএস।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফোন অপারেটররা ন্যূনতম গতি বজায় রাখতে না পারলে তাদের ব্রডব্যান্ড ও ফোর-জি সেবাদাতা হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হবে না। গতির নতুন মানদণ্ড বাস্তবায়ন করতে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করেছে।

কমিটি সব সেবাদাতার সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রতিবেদন আকারে একটি প্রস্তাব জমা দেবে। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বিটিআরসি ইন্টারনেটের গতির নতুন মানদণ্ডের আনুষ্ঠানিক আদেশ দেবে।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে আগস্টের শেষে ১১ কোটি ৫৪ লাখ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ১ কোটি ১০ হাজার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলেন।

২০১৮ সালে বিটিআরসি ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতির মানদণ্ড ৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস করে। তারপরও, সারা দেশে অনেক গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা থেকে ন্যূনতম গতি পাচ্ছেন না।

প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সালের ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ সূচক অনুযায়ী— মোবাইল ইন্টারনেট সেবার গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ ১১০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে। এই সূচক প্রকাশ করেছে খ্যাতিমান ভিপিএন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক। সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০৩।

জাগরণ/এসএসকে