আসন্ন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যে রানবন্যা হতে চলেছে, তা নিয়ে ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শকদেরও তেমন কোনো সংশয় নেই। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি মার্ক ওয়াহও মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপেই হয়ে যেতে পারে দলীয় ৫০০ রানের ইনিংস। রান বন্যার পূর্বাভাসের জন্য অফিসিয়াল স্কোরকার্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অফিসিয়াল স্কোরকার্ডে ৫০০ রান পর্যন্ত হিসাব রাখার সুযোগ আছে।
বিশ্বকাপ তো বটেই ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন দল ৫০০ রানের দলীয় ইনিংসের মাইলফলকে পা রাখবে, তা নিয়েও আলোচনার কমতি নেই। তবে ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ধারণা, সবার আগে এই কীর্তি গড়বে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ইস্ট লন্ডনে বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলের অধিনায়কের নিয়ে বড়সড় এক আড্ডার আয়োজন করে আইসিসি। ‘ক্যাপটেন্স ডে’ নামের ওই আড্ডার অনুষ্ঠানে কোহলি বলেন, সবার আগে ইংল্যান্ড ৫০০ রান করবে বলেই মনে হচ্ছে। তারা প্রথম বল থেকে পুরো ৫০ ওভার পর্যন্ত বলকে মেরে থেঁতলে ফেলে।
কোহলির কথাকে অবশ্য মোটেও অবান্তর মনে হওয়ার অবকাশ নেই। ২০১৮ সালের ১৯ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে ৪৮১ রানের অবিশ্বাস্য সংগ্রহ গড়ে ইংল্যান্ড, যা এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বাধিক দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
তবে হাই স্কোরিং ম্যাচ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কোহলি আরও বলেন, বিশ্বকাপে ২৬০-২৭০ রান তাড়া করাও ৩৭০-৮০ রান তাড়া করার মতোই কঠিন। টুর্নামেন্টের শেষ ভাগে হাই স্কোরিং ম্যাচ খুব বেশি হবে না। হ্যাঁ, প্রথমদিকে হয়তো কিছু ম্যাচে দেখা যাবে রান। কিন্তু পরে ২৫০ রানও ডিফেন্ড করবে দলগুলো। বিশ্বকাপ খেলায় চাপ বেশিই থাকে। প্রথম ম্যাচের আগে উত্তেজনার সঙ্গে হালকা মানসিক চাপও থাকবে। একবার শুরু হলেই সব দল বুঝতে পারবে কোন পথে চলতে হবে এবং কী নিয়ে কাজ করতে হবে। কয়েক ম্যাচ যাওয়ার পরই সবই সাবধানী হয়ে ইনিংস গড়ায় মন দেবে এবং পরে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি যোগ করেন, কোন দল যখন নক আউট পর্বের কাছাকাছি যেতে থাকবে তখন সেটা তাদের জন্য কঠিন চাপ সৃষ্টি করবে। তখন কেউ প্রথম বল থেকেই আক্রমণ করতে যাবে না।
এবারের বিশ্বকাপে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারকে এক্স ফ্যাক্টর সম্পন্ন বোলার হিসেবে উল্লেখ করে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বলেন, সে যে কারোর চেয়ে ব্যতিক্রম। তার রান আপ দেখে বোঝার উপায় নেই যে সে অনেক গতি নিয়ে বল করতে আসছে। আসলেই সে দারুণ খেলোয়াড় এবং আমি মনে করি তাকে পেয়ে ইংল্যান্ড খুবই আনন্দিত। আমি নিজে তার বোলিং দেখি কারণ সেটা আসলেই মনোমুগ্ধকর।
আরআইএস