• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০৯:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০৯:০৭ পিএম

চক্রান্ত করে বাদ দেয়া হয়েছে শেহজাদকে! 

চক্রান্ত করে বাদ দেয়া হয়েছে শেহজাদকে! 

আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ অভিযোগ করেছেন, তাকে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে চক্রান্ত করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড! শেহজাদ দাবি করেছেন, তিনি এই বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলো খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট ছিলেন, তারপরও তাকে ষড়যন্ত্র করে দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পান শেহজাদ। তবে ইনজুরিমুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচে ঠিকই মাঠে নেমেছিলেন তিনি। 

কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ম্যাচের আগে জানানো হয়, হাঁটুর ইনজুরির কারণে এই বিশ্বকাপে আর খেলা হচ্ছে না শেহজাদের। 

কাবুলে ফিরে গিয়ে শেহজাদ ভারতীয় গণমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, 'আমি খেলার জন্য সম্পূর্ণ ফিট ছিলাম। তারপরও বুঝতে পারছি না কেন আমাকে বিশ্বকাপ দল থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। শুধুমাত্র আফগান দলের ম্যানেজার, ডাক্তার ও অধিনায়ক জানতেন এ ব্যাপারে। এমনকি কোচকেও (ফিল সিমন্স) এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। এটা সত্যিই হৃদয়বিদারক।'  

বিধ্বংসী এই আফগান ওপেনার বলেন, 'নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আমি অনুশীলন করে কেবল ফিরছিলাম। তখনই ফোন চেক করে আমি জানতে পারি, আমি নাকি হাঁটুর ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছি! আমিসহ টিম বাসের সবাই এমন খবরে স্তম্ভিত হয়ে যায়।' 

আফগানিস্তান দলের তিন ভরসার প্রতীক মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও মোহাম্মদ শেহজাদ বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেহজাদকে তো তৃতীয় ম্যাচের আগে বাড়িতেই পাঠানো হলো! তার বদলে দলে নেয়া হয়েছে তরুণ ইকরাম আলী খিলকে। মাত্র এক টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইংল্যান্ড গেছেন ইকরাম। 

অন্যদিকে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব কিন্তু বলেছে, দুই-তিন সপ্তাহ ধরেই হাঁটুর ইনজুরি ভোগাচ্ছিল শেহজাদকে! 

বিশ্বকাপের আগে থেকেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ওপর নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হচ্ছে। নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে গুলবাদিনকে অধিনায়ক বানানো তার একটি। বোর্ডের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্ট কোচ ফিল সিমন্সও এ বিশ্বকাপ শেষে আর আফগান দলের দায়িত্বে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এবার সেই বিতর্ক আরও জোরালো হলো শেহজাদ বিতর্কে। 

এসব বিতর্ক এসিবি কিভাবে সামাল দেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়। 

এমএইচএস