বিশ্বকাপ শুরুর ২ মাস আগে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল পাকিস্তান। ওই সিরিজে সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটারদের বিশ্রামে দেয়া নিয়ে পিসিবির সমালোচনা করেছিলেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। তবে সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ দলকেও অপমান করে ছেড়েছিলেন।
গত ২৪ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদি শুধু বাংলাদেশকেই নয়, অপমান করেছিলেন জিম্বাবুয়ে দলকেও। আফ্রিদি বলেছিলেন, এই সিরিজ যদি বাংলাদেশ বা জিম্বাবুয়ের মতো র্যাংকিংয়ের ষষ্ঠ-সপ্তম বা অষ্টম দলের সঙ্গে হতো, তাহলে বিশ্বকাপের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের বিশ্রামের একটা কারণ ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি শক্তিশালী দলের সঙ্গে এটা মানা যায় না।
বাংলাদেশকে অবজ্ঞা করে যখন আফ্রিদি কথাগুলো বলছিলেন, তখন পরিসংখ্যান ভিন্ন এক চিত্র তুলে ধরছিল। ২০১৫ সালে ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের বিপক্ষে তারা ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। গত বছর এশিয়া কাপে পূর্ণ শক্তির পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। গত চার বছরে এই দুই দল তিনটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে; যার দুইটিতে জয়ী দলের নামও বাংলাদেশ।
তবে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশাল রান তাড়া করতে গিয়ে একপেশেভাবে বাংলাদেশ জয় তুলে নেয়ার পর ভোল পাল্টে ফেলেছেন আফ্রিদি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা ২১ রানে জয়ের পর যারা বিষয়টিকে অঘটন বলে মন্তব্য করেছিলেন, তাদের একহাতও দেখে নিয়েছেন।
শহীদ আফ্রিদি তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যোগ্য দল হিসেবেই জয় পেয়েছে টাইগাররা। সাকিব ও লিটন অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন।
তিনি লিখেছেন, বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দলই শক্তিশালী। তারা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই এখানে এসেছে। তারা নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। বিশ্বকাপের কোনো দলকে অবমূল্যায়ন করা উচিৎ নয়।
আরআইএস