• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম

৩০ শতাংশও ফিট নয়, তবু অনবদ্য ইমন

৩০ শতাংশও ফিট নয়, তবু অনবদ্য ইমন
পারভেজ হোসেন ইমন। ফটো : সংগৃহীত

৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর দ্রুতই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। জোড়া ধাক্কা সামলে নেয়ার আগেই পায়ের পেশিতে টান পড়ার কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ৪২ বলে ২৫ রান করা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তার ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে শুরু করে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। 

একপর্যায়ে ১০২ রানেই ৬ উইকেটের পতনের পর যখন আবারো ফাইনাল হারার বেদনায় পোড়ার শঙ্কায় টাইগাররা, ঠিক তখনই ২২ গজে আবারো ইমনের আগমন। অথচ সোজা হয়ে দাঁড়ানোই তার পক্ষে ভীষণ কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছিল। একপ্রান্তে অবিচল আকবর আলীকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ইমনের আবারো মাঠে না ফিরে যে তখন কোনো উপায়ই ছিল না।  

সপ্তম উইকেটে ৪১ রানের মহামূল্যবান জুটি গড়ে আকবর-ইমন যেন এক ক্রিকেট রণাঙ্গনে এক মহাকাব্যের জন্মই দিয়ে ফেললেন। খুঁড়িয়ে রান নিতে থাকা ইমন নিলেন পর্যাপ্ত সময়। ৭৯ বলে ৪৭ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে নিজের কর্তব্য পালনে সাহসী এই তরুণ গড়লেন সাহসী বাঙালির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 

ইমন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে না পারলেও বাকি কাজটা রাকিবুলকে নিয়ে একদম ঠিকঠাকভাবেই পালন করেছেন অধিনায়ক আকবর আলী। ৭৭ বলে অপরাজিত ৪৩ রানে দলকে শিরোপা জিতিয়ে ফাইনাল সেরা হওয়া টাইগার অধিনায়ক ইমনের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, ইমন নিজের জাত চিনিয়েছে। এমনকি সে ৩০ শতাংশও ফিট ছিল না। ইমন যখন ক্র্যাম্পের কারণে ড্রেসিংরুমে আসে, নতুন দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে দল তখন প্রচণ্ড চাপে। আধিপত্য করছিল ভারত। ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ইমন ফিরে যেভাবে ব্যাটিং করলো আমি সত্যিই তার জন্য গর্বিত।’ 

আরআইএস 
 

আরও পড়ুন